বাংলাদেশের সরকার সরাসরি সম্প্রচারে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার পর টিভি কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। একটি টেলিভিশনের শীর্ষ বার্তা কর্মকর্তা একে মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছেন। গত সপ্তাহেই দেশের ২৬টি টেলিভিশন চ্যানেলকে তথ্য মন্ত্রণালয় এ চিঠি পাঠায়, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান কার্যক্রমের ঘটনাপ্রবাহ সরাসরি সমপ্রচার না করার অনুরোধ জানানো হয়। গতকাল রাতে প্রচারিত বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সহকারী সচিবের সই করা এ চিঠির একটি কপি বিবিসির হাতে এসেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিটিভিসহ মোট ২৬টি টিভি চ্যানেলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার এবং কোথাও কোনো অপরাধ সংগঠনের সময় অপরাধী বা জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান কার্যক্রমের ঘটনাপ্রবাহ সরাসরি সমপ্রচার না করতে। এ চিঠি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তারা যে সমপ্রচার করছেন, সেখানে আমরা কিছু ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সেটা হচ্ছে, আমাদের সমপ্রচার নীতিমালা আছে, সেখানে যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা বহুক্ষেত্রে অনুসরণ করা হচ্ছে না। এজন্য আমরা অনুরোধপত্র দিয়েছি সতর্ক করার জন্য।’
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম দেখাতে বাধা কোথায়? বিবিসির এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করন। বিশেষ করে তিনি ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েক দিন ধরে আটকে থাকা রেশমাকে উদ্ধার, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় একটি পানির পাইপে দীর্ঘসময় ধরে আটকে পড়া একটি শিশুকে উদ্ধার অভিযান এবং কয়েকটি নৌদুর্ঘটনার উদ্ধার তৎপরতা সরাসরি সমপ্রচারের ঘটনা উল্লেখ করেন। এগুলোকে সঠিক নয় বলে বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, ‘উদ্ধারকার্যে বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করার কোনো গণমাধ্যমের অধিকার নেই। ঘটনার আগেই আমি সতর্ক করে দিয়েছি, আপনারা বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন না। না হলে প্রশাসন ওখানে শক্ত অবস্থান নেবে, তখন আরো বিব্রত হবেন। মৃতদেহের ছবি দেখানো কোনো নৈতিকতার মাপকাঠিতে আসে না। শিশুর মৃতদেহ, এটা কোন মানবিক ব্যাপার?’ তিনি আরো বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ভেতর থেকে উদ্ধার করছে, তখন উদ্ধারকাজটা সমাপ্ত করতেও দেবেন না। এটা তো ঠিক না। একটা শকে ছিল, তিন দিন ওখানে অভুক্ত অবস্থায় আছে, এ অবস্থায় তার মুখে বুম ধরা, জিজ্ঞেস করা যে আপনার কেমন লাগছে – এটা কোনো কথা হলো নাকি?’
রিপোর্টে বলা হয়, মূলত এ ধরনের সরাসরি সমপ্রচার যে সরকার পছন্দ করছে না, তা সপষ্ট হয় গুলশান হামলার সময়কালে। হামলা পরবর্তী জিম্মিদশা চলাকালে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলো দীর্ঘসময় ধরে ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করছিল। একপর্যায়ে তারা সরাসরি সমপ্রচার বন্ধ করে দেয়। কারণ, হিসেবে সরকারের অনুরোধের কথা উল্লেখ করে।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ বলেন, সরকার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা বেষ্টনী, গণমাধ্যম ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছে। আর সে ব্যর্থতার দায় গণমাধ্যমের ওপর চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, সরকার বলছে তারা কোনোভাবেই গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ করবে না এবং তারা অবাধ তথ্যপ্রবাহে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকেই আবার যখন এ চিঠি দেয়া হয়, সেটা এমন দুর্ভাগ্যজনক যে, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তো নিষেধাজ্ঞা আছেই; এমনকি বলা হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবরও সরাসরি দেখানো যাবে না। যদি সরাসরি দেখানো না যায়, তাহলে কী দেখানো হবে? আমার মনে হয়, এটা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের নানা ধরনের উপাদান। সরকার প্রমাণ করছে তারা যা বলে আসছে তারা তা বিশ্বাস করে না। এ চিঠিটা সেটাই প্রমাণ করে।
এদিকে তথ্যমন্ত্রী বলছেন, এ বছরের মধ্যেই সমপ্রচার আইন ও তথ্য কমিশন গঠনের কাজ শেষ হবে। এরপর থেকে সরকার এসব ব্যাপারে আর হস্তক্ষেপ করবে না। তথ্য কমিশনই আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম দেখাতে বাধা কোথায়? বিবিসির এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করন। বিশেষ করে তিনি ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েক দিন ধরে আটকে থাকা রেশমাকে উদ্ধার, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় একটি পানির পাইপে দীর্ঘসময় ধরে আটকে পড়া একটি শিশুকে উদ্ধার অভিযান এবং কয়েকটি নৌদুর্ঘটনার উদ্ধার তৎপরতা সরাসরি সমপ্রচারের ঘটনা উল্লেখ করেন। এগুলোকে সঠিক নয় বলে বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, ‘উদ্ধারকার্যে বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করার কোনো গণমাধ্যমের অধিকার নেই। ঘটনার আগেই আমি সতর্ক করে দিয়েছি, আপনারা বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন না। না হলে প্রশাসন ওখানে শক্ত অবস্থান নেবে, তখন আরো বিব্রত হবেন। মৃতদেহের ছবি দেখানো কোনো নৈতিকতার মাপকাঠিতে আসে না। শিশুর মৃতদেহ, এটা কোন মানবিক ব্যাপার?’ তিনি আরো বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ভেতর থেকে উদ্ধার করছে, তখন উদ্ধারকাজটা সমাপ্ত করতেও দেবেন না। এটা তো ঠিক না। একটা শকে ছিল, তিন দিন ওখানে অভুক্ত অবস্থায় আছে, এ অবস্থায় তার মুখে বুম ধরা, জিজ্ঞেস করা যে আপনার কেমন লাগছে – এটা কোনো কথা হলো নাকি?’
রিপোর্টে বলা হয়, মূলত এ ধরনের সরাসরি সমপ্রচার যে সরকার পছন্দ করছে না, তা সপষ্ট হয় গুলশান হামলার সময়কালে। হামলা পরবর্তী জিম্মিদশা চলাকালে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলো দীর্ঘসময় ধরে ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করছিল। একপর্যায়ে তারা সরাসরি সমপ্রচার বন্ধ করে দেয়। কারণ, হিসেবে সরকারের অনুরোধের কথা উল্লেখ করে।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ বলেন, সরকার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা বেষ্টনী, গণমাধ্যম ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছে। আর সে ব্যর্থতার দায় গণমাধ্যমের ওপর চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, সরকার বলছে তারা কোনোভাবেই গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ করবে না এবং তারা অবাধ তথ্যপ্রবাহে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকেই আবার যখন এ চিঠি দেয়া হয়, সেটা এমন দুর্ভাগ্যজনক যে, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তো নিষেধাজ্ঞা আছেই; এমনকি বলা হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবরও সরাসরি দেখানো যাবে না। যদি সরাসরি দেখানো না যায়, তাহলে কী দেখানো হবে? আমার মনে হয়, এটা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের নানা ধরনের উপাদান। সরকার প্রমাণ করছে তারা যা বলে আসছে তারা তা বিশ্বাস করে না। এ চিঠিটা সেটাই প্রমাণ করে।
এদিকে তথ্যমন্ত্রী বলছেন, এ বছরের মধ্যেই সমপ্রচার আইন ও তথ্য কমিশন গঠনের কাজ শেষ হবে। এরপর থেকে সরকার এসব ব্যাপারে আর হস্তক্ষেপ করবে না। তথ্য কমিশনই আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেবে।