বাড্ডা থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Slider বাংলার আদালত
 af6fe48e60693575da058ffabdc4c471-593cfba5ef440

 

চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগ এনে রাজধানীর বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন এক নারী।

আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম এই অভিযোগের তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদীর নাম নুরুন্নাহার নাসিমা বেগম। আসামিরা হলেন বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দীন ইসলাম ও আবদুর রহিম, জাহানারা রশিদ, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কায়সার ও শুকুর আলী।

বাদীর আইনজীবী ইসমাইল মির্জা  বলেন, মামলার আসামি জাহানারা রশিদ বাদীর (নুরুন্নাহার নাসিমা বেগম) সতিনের মেয়ে। তাঁদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলা চলছে। জাহানারার বাসায় বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। এ কারণে তিনি ডেসকোর কর্মকর্তাদের ডেকে বাদীর বাসা থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে বলেন। কিন্তু বাদী এতে রাজি না হলে উল্টো জাহানারা বিদ্যুৎ অফিসের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরে বাড্ডা থানা-পুলিশের সহযোগিতায় জাহানারা বাদীকে ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তী সময়ে ওসির নির্দেশে এএসআই দীন ইসলাম ও এসআই শহীদ বাদী এবং তাঁর সন্তানদের মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। গত ২৬ মে পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা ওসির নির্দেশে বাদীর ভাড়াটেদের বের করে দিয়ে ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে যান। পরে থানায় ওই চাবি নিতে গেলে বাদীর কাছে পুলিশ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার ওসি জলিলের নির্দেশে পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ ও দীন ইসলামসহ পুলিশের আরও পাঁচ-ছয়জন সদস্য বাদীর ছেলে রবিন দেওয়ানকে জাহানারার বাসায় বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে বলেন। রবিন এতে না বললে, দীন ইসলাম ও শহীদ তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। পরে হাতুড়ি দিয়ে মিটারের বাক্সের তালা ভেঙে মামলার আসামি বিদ্যুৎ মিস্ত্রি শুকুর আলীর মাধ্যমে জাহানারার বাসায় বিদ্যুৎ-সংযোগ দেন।

রবিনকে হুমকি দিয়ে এসআই শহীদ বলেন, ‘আকাশের যতগুলো তারা, পুলিশের ততগুলো ধারা। শালা, তোদের মার্ডার কেসে ঢুকাইয়া দেব।’

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, পুলিশের এএসআই দীন ইসলাম বাদীর বাসার তালা ভেঙে ২০ হাজার টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করেছেন। মামলার আসামি জাহানারা বাদীর জমিজমাসংক্রান্ত কাগজপত্র চুরি করেছেন। এর আগে দীন ইসলাম বাদীর ছেলেকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। রবিনকে হুমকি দিয়ে এসআই শহীদ বলেন, ‘আকাশের যতগুলো তারা, পুলিশের ততগুলো ধারা। শালা, তোদের মার্ডার কেসে ঢুকাইয়া দেব।’ রবিনকে অপর পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই দীন ইসলাম হুমকি দিয়ে বলেন, ‘শালা, তোকে পাঁচতলা থেকে লাথি মেরে মাইরা ফালাব।’ দীন ইসলাম আরও বলেন, ‘হারিছ মিয়া (বাদীর প্রতিবেশী) কোথায় গেল। তারে ডেকে নিয়ে… (অশালীন শব্দ) গরম ডিম ঢুকাব।’

রবিনকে অপর পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই দীন ইসলাম হুমকি দিয়ে বলেন, ‘শালা, তোকে পাঁচতলা থেকে লাথি মেরে মাইরা ফালাব।’ দীন ইসলাম আরও বলেন, ‘হারিছ মিয়া (বাদীর প্রতিবেশী) কোথায় গেল। তারে ডেকে নিয়ে… (অশালীন শব্দ) গরম ডিম ঢুকাব।’

মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল প্দাবি করেন, তিনি বাদীকেই চেনেন না। পুলিশের যেসব কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা চাঁদা চেয়েছেন বা চুরি করেছেন—তা আদৌ সত্য নয়। তবে ওই দুই পক্ষের মধ্যে পারিবারিক জমিসংক্রান্ত ঝামেলা আছে।

ওসি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকলে বাদী তাঁকে জানাতে পারতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *