সড়ক দূর্ঘটনা এ যেনো চির চেনা কাহিনী, একের পর এক প্রাণ চলে যাচ্ছে আর কত প্রাণ গেলে প্রাসাসনের টনক নড়তে পারে! এ যেনো কেও জানে না। মৃত্যুকে সঙ্গী করে চলছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এম.সি বাজার এলাকার লক্ষাধিক লোকজন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এম.সি বাজার নামক স্থানটি মৃত্যুর আগের নাম ভাবেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় সময় দেখা মিলে সড়কটিতে পরে আছে বৃদ্ধা শিশু মহিলা পরুষের লাশ। এটা কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয় গাড়ীর চাপায় এরা দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরপারে যেতে বাধ্য করে ঘাতক গাড়ী গুলো। গত ১০ জুলাই রবিবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় স্কুল হাজ্বী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০/১২জন ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে এম.সি বাজারে গাড়ীর অফেক্ষায় থাকে এমন সময় ময়মনসিংহ গামী লেগুনা তাদের উপরে উঠিয়ে দেয়। ১২জনই আহত হয় এদের মধ্যে ৩জন গুরুতর আহত হয়। এমসয় ছাত্র/ছাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দু’ঘন্টা রাখে অবরোধ করে রাখে। এসময় বেশ কয়েকটি লেগুনা ভাংচুর করে ছাত্র/ছাত্রীরা। পরে পুলিশ এসে সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যানচলাচল স্বাভাবিক করে। দ্বিতীয় দিনেও মহাসড়কটি অবরোধ করে ছাত্র/ছাত্রীরা তবে কোন গাড়ী ভাংচুরের চিত্র চোঁখে পরেনি। এভাবেই প্রাণের ঝুকি নিয়ে সড়ক দিয়ে পারা পার হয় রাস্তার দুই পাশে থাকা স্কুল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো ছাত্র/ছাত্রী, শতশত ব্যবসায়ী, বাদ নেই কলকারখানার হাজারো শ্রমিকরাও। এদের প্রাণের দাম দিতে কি প্রসাসন কোন দিন এগিয়ে আসবে না এমন প্রশ্ন বুকে চাপা রেখে আছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাজ্বী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান (সজল) জানান, ১১জুলাই আমাদের স্কুলের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা তাই ওই ১২জনও পরীক্ষার প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করে বাসার ফেরার পথে লেগুনা চাপা দেয়। আমরা থবর পেয়ে স্থানীয় হাইওয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এদের মধ্যে ৩জন গুরতর আহত হয়, আহতরা হলো উপজেলার গাজীপুর ইউপির ফরিদপুর গ্রামের বাবুল মোল্লাহ্ মেয়ে আকলিমা অক্তার ৬ষ্ঠ শ্রেণী, ধনুয়া গ্রামের শহিদুল হকের মেয়ে সুমি আক্তার ৭ম শ্রেণী, আখিঁ ৬ষ্ঠ শ্রেণী। তাদের দুজন আজকে পরীক্ষা দিতে পারলেও বাকি একজন পলীক্ষা দিতে পারে নাই। আমারদের সকলের জোর দাবী মাননাীয় স্থানীয় সাংসদের কাছে এই মরণ ফাঁদ বন্ধে রাস্তা পারাপারের জন্য ফুঁট ওভার ব্রীজ নির্মান করুন।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের সি.অফিসার জাহিদ হাসান জানান, খবর পেয়ে আমাদের উদ্ধার টিম আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। এমন কোন হতাহাতের ঘটনা ঘটেনি।
মাওনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কিছু সময় যানচলাচল ব্যহৃত হয়। পরে আমরা ছাত্র/ছাত্রীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখি। এসময় কয়েকটি লেগুনা ভাংচুর করে অবরোধকারীরা।
আরিফুল ইসলাম খান
অতিথি লেখক