শোকার্ত গোটা দেশ। বিশ্বও। শোকাবহ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম। দেশী-বিদেশী অতিথি-স্বজনরা কাঁদছেন। লাল সবুজের পতাকায় মোড়া ২২ জনের লাশের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে। কফিনগুলো রাখা হয়েছে পাশাপাশি সারিবদ্ধ ভাবে। শুরুতেই শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের দ্বিতীয় দিনে আজ সকাল ১০টায়। পরে, ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে ইতালির রাষ্ট্রদূত ম্যারিও পালমা, জাপানের রাষ্ট্রদূত হরিগুচি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাট একের পর এক পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। নিহত বাংলাদেশী নাগরিকদের স্বজনরা ও হামলায় জীবন দেয়া পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ শ্রদ্ধা জানান এর পর। সেনা স্টেডিয়ামে উপস্থিত অন্যান্য দেশের কূটনীতিকগণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতারা, ১৪ দল নেতারা এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রদ্বয় ধারাবাহিকভাবে শ্রদ্ধা জানান। আজ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সেনা স্টেডিয়ামে গুলশান হামলায় নিহত ১৭ বিদেশী নাগরিক, ৩ বাংলাদেশী নাগরিক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তার লাশের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়। এরপরই নিহতদের লাশ হস্তান্তর করা হয় তাদের স্বজনদের কাছে। আর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থাপিত মঞ্চটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য।