ঢাকা : কোনো কাজে এখলাস অবলম্বন করার অর্থ হলো ‘কোনো কাজ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে করা’। এছাড়া অন্যকোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না কোনো কাজে। তাই শুধু সিয়াম নয়, এ এখলাস ব্যতীত কোনো আমল কবুল হবে না।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন—
وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
অর্থ : তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং সালাত কায়েম করতে ও জাকাত দিতে, এটাই সঠিক দ্বীন। (সূরা আল-বাইয়েনা : ৫)
আর সিয়াম পালনে এখালাসের বিষয়টাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেমন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন—
من صام رمضان إيمانا واحتسابا غفر لـه ما تقدم من ذنبه .رواه الشيخان
অর্থ : যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে সিয়াম পালন করবে তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বর্ণনায় : বোখারি ও মুসলিম)
এ হাদিসে ইহতিসাব শব্দ এসেছে। এর অর্থ এখালাসের সাথে সিয়াম পালন করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও তার কাছ থেকে প্রতিদানের আশা করার নামই হলো ইহতিসাব।
রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন—
ليس الصيام من الأكل والشرب، إنما الصيام من اللغو والرفث، فإن سابك أحد أو جهل عليك، فقل إني صائم. رواه ابن خزيمة والحاكم
অর্থ : শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম নয়। মূলত সিয়াম হলো, অনর্থক-অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। যদি তোমার সাথে কেউ ঝগড়া-বিবাদ কিংবা মারামারিতে লিপ্ত হতে চায় অথবা মূর্খতা সুলভ আচরণ করে তবে তাকে বলে দেবে আমি সিয়াম পালনকারী। (ইবনে খুযাইমা ও হাকেম)