মো. পলাশ প্রধান, টঙ্গী (গাজীপুর) থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গাজীপুর-২ আসনের সর্বস্থরের জনগণ। গত বুধবার রায় প্রকাশের পর গাজীপুরসহ সারা দেশের মানুষ যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে। সকল আসামিদের ফাঁসি হবে এটাই ছিল দেশবাসির দাবি।
এই দাবি নিয়ে আজ শনিবার সকাল ১১ টায় টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ ও টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের উদ্দ্যেগে মানববন্ধন হয়। টঙ্গী সরকারি কলেজ গেট এলাকা থেকে সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধনটি পৌরসভা ও টঙ্গী প্রেসক্লাব হয়ে কলেজ গেট এসে সমাপ্ত হয়। এসময়, কলেজ ছাতলীগের সভাপতি মো. কাজী মনজুর বলেন, “এ রায় আমাদের কাছে প্রত্যাশিত নয়। প্রয়োজনে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ ও টঙ্গী কলেজ ছাত্রলীগ এক হয়ে সর্বোচ্চ আদালতে যাবে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাব।”
মানবন্ধনে টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান কানন মুল্লা বলেন, “১২ বছর আগে আমাদের মাঝখান থেকে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারকে নওগা এম.এ মজিদ মিয়া স্কুলে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করেছিল। তাছাড়া, গত বুধবারে যে রায় হয়েছিল তার আগের রায়ে ২২ জনের ফাঁসির রায় ছিল। এখন কেন ৬ জনে নামানো হল? আবার খালাস দেওয়া হল? আমরা সব আসামির ফাঁসির দাবিতে সর্বোচ্চ আদালতে যাবো।”
মানববন্ধনে গাজীপুর মহানগরের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন খান মিঠু বলেন, “হত্যাকারীদের যাবজ্জীবন হবে কেন? এই রায় মেনে নেওয়ার রায় নয়। সবার ফাঁসি চাই।”
মানবন্ধনে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ ও টঙ্গী কলেজ ছাত্রলীগ এক হয়ে বলেন, “রায় ঘোষণার শুনার জন্য সকলেই নিউজ চ্যানেলের দিকে তাকিয়ে রায়ের অপেক্ষায় ছিলাম। সকল আসামিদের ফাঁসির রায়ের অপেক্ষান করে ছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম ২২ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকবে। এখন সেখানে আবার ১৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা কোন মতেই সন্তুষ্ট নই, মনে ব্যথা পেয়েছি। আমরা সব আসামির ফাঁসি চাই।”
এ সময় মানববন্ধন ও র্যালীতে অংশগ্রহন করেন, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সাঈফুল ইসলাম, ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, টঙ্গী থানা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, খোরশেদ আলম, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভপতি মো. মোতাহার হোসেন খান মিঠু, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল রানা, মো. রাসেল ব্যাপারী, কাজী চঞ্চল, মো. বিপ্লব হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, মো. শেখ সোহেল, পূবাইল সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ। তাছাড়াও, মানববন্ধন ও র্যালীতে অংশগ্রহন করে গাজীপুরের সর্বস্থরের জনগন।