ধর্ষণের দায়ে বিশ্বভারতীর বাংলাদেশী গবেষকের যাবজ্জীবন

Slider সারাবিশ্ব

16767_rape

 

 

 

 

 

বিশ্বভারতীর পাঠভবনের এক বাংলাদেশী ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় বাংলাদেশেরই এক গবেষক ছাত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত বুধবারই পল্লী শিক্ষাভবনের অভিযুক্ত গবেষক ছাত্র সফিকুল ইসলামকে ভারতীয় দন্ডবিধির ২৩ (মারধর), ৩৪২ (বেআইনি আটক), ৩৫৪(বি) (বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি), ৫০৬ ধারার (প্রাণনাশের হুমকি) পাশাপাশি নাবালিকার সংক্রান্ত পসকো আইনের ৪ ধারাতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বীরভুমের সিইড়ির জুভেনাইল আদালতের বিচারক মহানন্দ দাস অভিযুক্ত গবেষক ছাত্রের যাবজ্জীবন শাস্তি ঘোষণার পাশাপাশি ভারত সরকারকে নির্যাতিতা ছাত্রীটিকে এক মাসের মধ্যে ৫ লক্ষ রুপি ক্ষতিপূরণ দেবারও নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে মাধ্যমিক পাশ করে বিশ্বভারতীতে পড়তে এসেছিল মেয়েটি। বাংলাদেশের রায়গঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জের দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা সফিউলের সঙ্গে বিশ্বভারতীতে পড়তে মেয়েটির পরিবারের জানাশোনা ছিল।  ফলে সে বিশ্বভারতীতে মেয়েটির স্থানীয় অভিভাবক ছিল। একই দেশের ছেলে বলে তাকে ভরসা করত বলে আদালতে জানিয়েছে মেয়েটি। আর এই সুযোগ নিয়ে ছাত্রটি ২০১৪ সালের আগস্টে বিশ্বভারতীর লাগোয়া গুরুপল্লীতে নিজের ভাড়া করা ঘরে ছাত্রীটিকে সাহায্য করার নাম করে ডেকে পাঠিয়েছিল।  সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সেই ছবি তুলে রেখেছিল সফিকুল। আর এরপর সেই ছবির কথা জানিয়ে ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করা হয় বলে মেয়েটির অভিযোগ। আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে মেয়েটি জানিয়েছে, ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোবাইলে ছবির ভয় দেখিযে প্রায়ই গুরুপল্লীর ঘরে তাকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এক পর্যাযে মেয়েটি তার মাকে সব কথা জানায়। এর পরে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের বোলপুর থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই মামলায় নির্যাতিতা ছাত্রীটির বন্ধু ও শিক্ষিকা সহ মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল। সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই ছাত্রটিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। নিযাতিতা মেয়েটি বর্তমানে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *