কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা দেয়ায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে গেল ধর্ষকরা!

Slider নারী ও শিশু

 

 

2016_03_20_18_09_56_sU52QIEIlnQCUwFMXzDkmP1Fitb68A_original

 

 

 

 

সিলেট : প্রেমের ফাঁদে ফেলে, চা বাগানে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে আল-আমিন। পরে ধর্ষিতার পরিবার মামলা দায়ের করলে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে সে। একপর্যায়ে ঘর থেকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষক আল-আমিন ও তার সহযোগীরা।

রোববার (২২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর বালুচর জোনাকি আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন কিশোরীর বাবা সেলিম মিয়া।

সেলিম মিয়া  জানিয়েছেন, তার মেয়ের সঙ্গে একই এলাকার আল-আমিন নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৫ মে মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে দলদলি চা বাগানে নিয়ে যায় আল আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়া।

চা বাগানে ধর্ষণ করে মেয়েকে ফিরিয়ে দেয় তারা। আলফা অসুস্থ হয়ে পড়লে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়।

গত ৮ মে ওসিসির প্রতিবেদনটি বিমানবন্দর থানায় পাঠানো হয়। কিন্তু যে এলাকায় এ নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকা বিমানবন্দর থানাধীন না হওয়ায় প্রতিবেদনটি শাহপরান থানায় স্থানান্তর করা হয়।

সেলিম মিয়া জানান, ওসিসির প্রতিবেদনটি থানায় দেয়া হয়েছে এমন খবর আল-আমিন জেনে যায়। এরপর থেকে থানায় মামলা দায়ের না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে আল আমিন।

তবে গত ১৯ মে শাহপরান থানায় আল-আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতন মামলা (মামলা নং ১৭) দায়ের করেন ধর্ষিতার বাবা।

সেলিম মিয়া আরও জানান, ধর্ষিতার মা সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হোস্টেলে রান্না করেন। রোববার সন্ধ্যায় মেয়েকে ঘরে একা রেখে তার মা রান্না করতে যান। এ সময় আল আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়া এসে ওই কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়।

মেয়ের খোঁজ দিতে বাবা সেলিম মিয়া পুলিশকে খবর দেন। রাত দেড়টার দিকে শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন তিনি। এখনও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

তবে শাহপরান থানা পুলিশ বলছে, আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *