বৈশ্বিক জলবায়ূ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের মাটি, পানি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বৃক্ষের উচ্ছেদ করে-দেশিয় বনজ, ফলজ, ভেষজ, ঔষধী এবং বিপন্ন উদ্ভিদগুলো লাগানো সহ সুন্দরবন রক্ষার দাবীতে অদ্য রোববার আর্ন্তজাতিক জীববৈচিত্র দিবসে সকাল ১০.০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যেগে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার সাদতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. মো: আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জল ও পরিবেশ ইন্স্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম, ইনামুল হক, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি বেলাল আহমেদ, ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস, এয়ার কক্সে’স ইন্টারন্যাশনাল লি: এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বশির আহমদ, নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সোহেল, যুগ্ম সম্পাদ(দপ্তর) ডা. বোরহান উদ্দিন অরণ্য, তুরাগ বাঁচাও আন্দোলনের শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রনি, যুগ্ম সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল, জীববৈচিত্র বিষয়ক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান, শীতলক্ষা বাঁচাও আন্দোলন শাখার সদস্য সচিব মো: তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামিম মোহাম্মদ, ঢাকা জেলা সভাপতি মো: বশির উদ্দিন, গাজীপুর জেলার সভাপতি, এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি মো: কামরুল ইসলাম , বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আইয়ুব আলী , মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সংরক্ষন কমিটির সভাপতি মো: মাসুদুল করিম অরিয়ন প্রমুখ।
নাগরিক সমাবেশে পরিবেশবিদরা বলেন পরিবেশের জন্য বিপদজ্জনক ইউক্যালিপ্টাস, ম্যালেরিয়া, আকাশমণি ইত্যাদি বৃক্ষ মানুষ ও পরিবেশের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর বিধায় এ সব গাছ লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এ সব গাছ সমূহ মাটির গভীর থেকে প্রচুর পানি টেনে নেয়। ফলে আশেপাশে অন্য কোন ফসল হতে পারে না শুধু তাই নয় এদের পাতা ও ফুলের রেণু প্রানীদেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর যার ফলে কোন পাখী এই সব গাছে বাসাও বাঁধে না।
বক্তাগন অরো বলেন সুন্দরবনে শুুধু এপ্রিল মাসের মধ্যেই ৪ বার পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগানা হয়েছে, ৪ দফা পুরেছে ১২ একর বনভুমি। পুরে ছাই হয়েছে উদ্বিড়াল, কচ্ছপ,গুইসাপসহ অনেক বন্য প্রাণী।
বক্তারা সাম্প্রতি ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রি ওমা ভারতির আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্পের অংশ হিসেরব ৩০ টি কৃত্রিম খালের মাধমে ব্রক্ষ্রপুত্র, তিস্তা, করতোয়ার পানি ভারতের মধ্য প্রদেশে নেওয়ার সর্বনাশী পরিকল্পনার তীব্র পতিবাদ জানান সমাবেশে ,বাংলাদেশের ইকোসিস্টেমের জন্য বনজ, ফলজ, ভেষজ ও ঔষধী বৃক্ষ লাগানা জরুরী কেননা আমাদের খাদ্য, ঔষধ, তন্তু, বিশদ্ধ বায়ু-পানি, উর্বরতা, ওজনস্তর রক্ষা, তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় রাখা, সাংস্কৃতিক, জাতীয় প্রতিক, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় জীববৈচিত্র তথা বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রানি , সুন্দরবন সংরক্ষণ সহ নদী রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি