উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড় ও ভুমিধ্বসে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধংস হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে শুক্রবার মাঝরাত থেকে উপকূলে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে ঝরছে ভারি বৃষ্টি। আজ ভোরে ভোলায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এতে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ঘরচাপায় নারীসহ দু’জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক লোকজন। এছাড়া ঝড়ে উপজেলার বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া লালমোহন উপজেলায় ঝড় আতঙ্কে আরও একজন মারা গেছেন। ঝড়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ গ্রামের মফিজের ছেলে মো. আকরাম (১২), একই এলাকার মো. নয়নের স্ত্রী রেখা বেগম (২৫), লালমোহন উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার মো. ইউনুস (৫৫)। আহতদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পটুয়াখালীর দশমিনায় ঘূর্ণিঝড়ে শনিবার সকালে নয়া বিবি (৫২) নামে এক গৃহবধূ ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরচাপায় নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের সুন্দর আলীর স্ত্রী। জেলার রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঞ্জল সলিমপুরে গাছচাপায় শনিবার ভোররাতে মা কাজল বেগম (৫০) ও তার ছেলে মো. বাবু (১০) নিহত হয়েছেন। নিহতরা ওই এলাকার মো. রাফিকের স্ত্রী ও ছেলে। এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহরের দুই নম্বর গেট এলাকায় টিনের চাল উড়ে রাজিব (১৩) নামে এক কিশোর মারা যায়। নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় মো.রাকিব (১১) নামে আরও এক কিশোর নিহত হয়েছে। এছাড়া সন্দ্বিপ ও কুতুবদিয়ায় ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।