বিএনপি নেতাদের অনেকের মতে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারারুদ্ধ হলে দলটি আবারও ওয়ান-ইলেভেনের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। এরই মধ্যে দলের অভ্যন্তরে সে লক্ষণগুলো প্রতীয়মান হচ্ছে। গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে সরকারের এজেন্টরা কাজ করছে বলেও অভিযোগ করছেন তারা।
বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতারা বলেন, দলের ‘চেইন অব কমান্ড’ মতো চলছে না সাংগঠনিক কার্যক্রম। দলের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ তিন নেতা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্দেশনা অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছে না। নানা মিথ্যা অভিযোগে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে প্রবীণ নেতাদের অবিশ্বাসের দেয়াল তুলে রেখেছেন গুলশান কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা ও নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তারাই এখন দল পরিচালনায় মূল
কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করছেন বলে দাবি করেন নেতারা।
এ পরিস্থিতিতে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ হলে আবারও ভাঙনের মুখে পড়তে পারে দলটি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচনের বাইরে রেখে আগাম কোনো নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেওয়ার ‘ষড়যন্ত্রেও’ পা দিতে পারে দলের একাংশ। ভেতরে-ভেতরে ওই ধরনের ‘হোমওয়ার্ক’ চলছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
অবশ্য অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া কারাবন্দি হলে দলের মহাসচিবের নেতৃত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, উপদেষ্টা কমিটির সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টিমই দল পরিচালনা করবে। চেয়ারপারসনের অবর্তমানে লন্ডন থেকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দিকনির্দেশনা দেবেন। প্রয়োজন হলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানও দেশে এসে বিএনপির হাল ধরতে পারেন। ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে টেলিফোনে দলের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত থাকছেন তিনি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতার সঙ্গে টেলিফোনে দলের খোঁজখবর নিয়েছেন ডা. জোবায়দা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির সামনে এখন বেশ কিছু সংকট। কিছু সংকট দলের কারণে, কিছু দলের বাইরে সরকারের বৈরী আচরণে। জাতীয় কাউন্সিলের দুই মাস পরও এর সুফল ঘরে তোলা যায়নি। কারণ এখনও স্থায়ী কমিটিসহ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা যায়নি। এখন দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ‘যোগ্য’ লোকদের নেতৃত্বে এনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দলের ‘চেইন অব কমান্ড’ও ঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। দলে যার যে দায়িত্ব, তাকে তা করতে দিতে হবে। অন্য কেউ প্রভাব বিস্তার করলে তাতে দলের ক্ষতি হবে।
খালেদা জিয়ার মামলার দ্রুতগতিতে চিন্তিত :বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিচারকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটির। তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৩২ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় আগামী ২ জুন হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেদিন অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির রায় দিয়েছেন আদালত। আর ওইদিন আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে কিছু দিনের মধ্যে দু’পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হবে। অবশ্য এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে রিভিউ আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। তবে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছেন। এরপর গত বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য আপিল করেছেন। আগামী সপ্তাহে তার শুনানি হবে।
এ পরিস্থিতিতে কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতারা। খালেদা জিয়াও দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো তেমন একটা আমলে নেননি। সিনিয়র নেতারা মামলার প্রসঙ্গ তুললে উড়িয়ে দিতেন তিনি। বলতেন, এগুলো রাজনৈতিক মামলা, এসব মামলায় কিছু হবে না। আপনারা এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তা করবেন না। তবে গত মঙ্গলবার থেকে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন তিনি। ওইদিন রাতে তার মামলা পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সিনিয়র আইনজীবীদের গুলশান কার্যালয়ে ডেকে পাঠান তিনি। তাদের কাছ থেকে মামলাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান তিনি। তবে আইনজীবীদের সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনেও কিছুটা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বিএনপি নেত্রী। কোন আইনজীবী কোন মামলা নিয়ে কাজ করবেন_ তা সুনির্দিষ্ট না থাকায় আইনি লড়াইয়ে কিছুটা সমন্বয়হীনতা ও দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়। সবাইকে প্রতিটি মামলায় আইনজীবী হিসেবে না দাঁড়িয়ে প্রত্যেকে যার যার দায়িত্বপ্রাপ্ত মামলায় সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের পরিচয় দেওয়ার পরমার্শ দেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতেও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে গুলশান কার্যালয়ে ডেকে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত শেষ করার চেষ্টাকে রাজনীতি থেকে তাকে দূরে রাখার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন তারা। গতকাল বুধবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহও এক সভায় সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। আমাদের নেত্রীর ব্যাপারে হিসাব-নিকাশ করে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি।
অবশ্য খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, দুদক ও আদালতের মাধ্যমে সরকার বিএনপিকে চাপে রাখতে চায়। সরকারের চাপকে আইনগতভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন তারা।
প্রবীণ নেতাদের অবিশ্বাস, মহাসচিবের নেই সাংগঠনিক ক্ষমতা :সূত্র জানায়, বর্তমানে বিএনপির প্রবীণ নেতাদের অধিকাংশকে বিশ্বাস করেন না দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। লোক দেখানো দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকলেও তাতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত হয় না। সিদ্ধান্ত হয় দলের চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দল সমর্থিত বুদ্ধিজীবী বা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে। এ পরিস্থিতিতে দলের স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাই ক্ষুব্ধ।
নাম প্রকাশ না করে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য সমকালকে বলেন, এভাবে দল চলতে পারে না। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করছি। অথচ দলের ভেতর কোনো গণতন্ত্র নেই। দলের কাউন্সিলে সবাই চেয়ারপারসনকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই বলে তিনি কি শুধু তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেই কমিটি করবেন! কোন নেতাকে কোন পদে দিলে সিনিয়রিটি লঙ্ঘন হবে না, সেটা তো দু’দিন আগে দলে আসা কর্মকর্তাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দলের মহাসচিব বা যারা দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জড়িত ওইসব দক্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কমিটিতে পদায়ন করা উচিত ছিল। তাহলে আজকে দলের ভেতর ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হতো না। সর্বশেষ দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বেশ কয়েকজন সিনিয়র সদস্য দলের পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন শেষে মহাসচিব হওয়ার পরও পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক ক্ষমতা পাননি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিবকে পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে দলের ভেতর নেতাকর্মীদের প্রচণ্ড চাপও রয়েছে। তবে ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত মির্জা ফখরুল নিশ্চুপ রয়েছেন। অবশ্য সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে মতবিনিময়কালে মির্জা ফখরুল কিছুটা অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন বলে সূত্র জানিয়েছে। তিনি দলের নানা সাংগঠনিক সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানেরও উদ্যোগ নেন।
দলের ভেতর নানা সংকট নিয়ে সম্প্রতি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামও কথা বলেন। দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কয়েক দিন আগে তরিকুলের বাসায় গিয়ে মতবিনিময় করেন। এদিকে কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি সংযোজন করলেও তা এখনও কার্যকর হচ্ছে না। নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে কম গুরুত্বের পদ ছাড়ছেন না বেশ কয়েকজন নেতা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন দলের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, বড় দলে যোগ্য নেতার অভাব নেই। তারপরও এক নেতা কেন একাধিক পদে থাকবেন?
দল পরিচালনায় গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা :বিএনপির একাধিক নেতার অভিযোগ, ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় নিয়ে শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। এ কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ তথা বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণের এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চেয়ারপারসনের জনৈক কর্মকর্তা। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী সিন্ডিকেট। দলকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে দলের সব সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে চেয়ারপারসনের কাছে নানা মিথ্যা অভিযোগ এনে ‘অবিশ্বস্ত’ করে রেখেছেন ওই কর্মকর্তা। আবার তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও কান ভারি করেছেন তিনি।
বিএনপি নেতারা জানান, বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীর মাধ্যমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার কাছে মিথ্যা সংবাদ পেঁৗছানো হয়। আবার কোনো বুদ্ধিজীবীকে পছন্দ না হলে তার বিরুদ্ধেও খালেদা জিয়ার কান ভারি করে রাখেন। বলেন, ওই বুদ্ধিজীবী তারেক রহমানকে পছন্দ করেন না। এ ধরনের অভিযোগ করে কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীকেও খালেদা জিয়ার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এভাবে নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে দলের সব সিনিয়র নেতা ও তারেক রহমান সম্পর্কে খালেদা জিয়ার ‘নেতিবাচক’ মনোভাব তৈরি করে রেখেছেন তিনি। আর এ সুযোগে দলের নতুন কমিটি গঠনে দলের ‘অযোগ্য’ ও ‘নবীন’ নেতাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ারও অভিযোগ করেন নেতারা। এমনকি ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীও তার লোক বলে গুঞ্জন রয়েছে। তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদটি দেওয়ার নেপথ্যে ওই কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ করেন দলের অনেক নেতা। গুলশান কার্যালয়ের ওই কর্মকর্তা কারও কারও ‘এজেন্ট’ হিসেবেও কাজ করছেন বলে দলের ভেতর বেশ গুঞ্জন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে ৩০ বছর ধরে খালেদা জিয়ার বাসায় কর্মরত বিশ্বস্ত সব কর্মচারীকেও নানা অজুহাতে বের করে দেওয়া হয়। গুলশান কার্যালয় পুরোপুরি কব্জায় নিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ওই কর্মকর্তা। এর অংশ হিসেবে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এর অংশ হিসেবে দলের গঠনতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে কাউন্সিলের আগেই তারই একান্ত অনুগত তাইফুল ইসলাম টিপুকে সহ-দপ্তর সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেন। অথচ আজও তাকে মেনে নিতে পারেননি দলের নেতাকর্মীরা। ওই কর্মকর্তার ক্ষমতার ধাপটে ‘ভীত’ হয়ে তার ‘সিন্ডিকেটে’ যোগ দেন নয়াপল্টন কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, মহাসচিব ও প্রবীণ নেতাদের ‘দূরত্ব’ তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে যাচ্ছেন দু’জন। বিএনপি চেয়ারপারসনকে এই স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট থেকে বের করতে দলের নেতারা ভেতরে ভেতরে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন।