: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, ঠিক তেমনি আমার ভগ্নি (হাসিনা) কেও হত্য করা হতে পারে বলে আমার শঙ্কা হচ্ছে।
দিগন্ত টেলিভিশনের ৬ষ্ট বর্ষপূর্তিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে পুনরায় সম্প্রচার চালুর দাবিতে সংহতি সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের পতনে দেশের জনগণই অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসবে। তখন আর বিরোধী দলের দরকার হবে না।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বলেন, ‘দিগন্ত টেলিভিশনকে নাকি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। ১৫ মাস হলো এ টিভি বন্ধ আছে। সাময়িক বন্ধ যদি ১৫ মাস হয়, তাহলে অসাময়িক কী কেয়ামত পর্যন্ত? আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দিগন্ত টিভি খুলে দিলেই সরকার বুদ্ধিমানের কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংহতি সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারি সরকারের পতন হবেই। ভারতে সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারি সরকার ছিল ধৈর্যধন। তারও পতন হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিএফইউজের একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো বলেন, আগামীতে দ্বিতীয় মুক্তি সংগ্রাম আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে। আর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিকরাই অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, একই সংবাদ পরিবেশনের পরও কেন শুধুমাত্র দিগন্ত টিভি আর ইসলামী টিভিকে বন্ধ করা হলো? দিগন্ত টিভি তো অতিরিক্ত কিছু দেখায়নি।
যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামীলীগের যারা গলা কেটেছে এবং আওয়ামীলীগ যাদের গলা কেটেছে তাদের সংমিশ্্রনে গঠিত হয়েছে এই খিচুড়ি সরকার। ইতিহাস থেকে তারা শিক্ষা না নিলে ইতিহাসই তাদের শিক্ষা দিয়ে দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংহতি সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, কবি আল মাহমুদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, দিনকাল সম্পাদক ড. রেজওয়ান সিদ্দিকী, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, আমার দেশের সাংবাদিক এম আব্দুল্লাহ, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।