বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ নতুন নতুন আইন করছে, সংবিধান সংশোধন করছে। নির্বাচনের নামে তারা ভোট কেন্দ্র দখল করে জোর করে নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।
আজ রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন খালেদা জিয়া।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকার দেশের মানুষকে মানুষ মনে করে না অভিযোগ করে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হবে।
তিনি বলেন, মে দিবসে থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রক্ত দিয়ে তারা অধিকার আদায় করেছে। আজ শ্রমিকরা মোটেও ভালো নেই। আজ তারা নির্যাতিত।
খালেদা জিয়া বলেন, রানা প্লাজা ধসে শ্রমিক মারা গেল। এখনো পর্যন্ত অনেককে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। রানা প্লাজার জন্য অনেক টাকা তোলা হয়েছে। এসব টাকা কোথায় গেল? শ্রমিকরা কেন সে টাকা পেল না।
আওয়ামী লীগের সাত বছরের ক্ষমতায় ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের কষ্টের টাকা পাচার হলে কীভাবে উন্নয়ন হবে? উন্নয়নের নামে প্রকল্প নিয়ে সে টাকা লুটপাট করা হয় বলেও দাবি করেন খালেদা।
খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকারের কাছে শুধু শ্রমিক কেন কোনো মানুষের অধিকার নেই। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে সবাইকে আন্দোলন করতে হবে।
মহান মে দিবসে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, মে দিবস রক্ত দিয়ে অধিকার আদায়ের ইতিহাস। তাই মে দিবসের শিক্ষা নিয়ে আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে।
এ জন্য বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান তিনি।
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। তিনি মঞ্চে ওঠার সময় নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। খালেদা জিয়া হাত নেড়ে শ্রমিকদের অভিনন্দনের জবাব দেন।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বেলা দেড়টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে হাজির হতে থাকেন দুপুরের আগে থেকেই।
সমাবেশ উপলক্ষে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা।
সভামঞ্চের সামনেই বড় হরফে লেখা দেখা যায়- ‘আমি একজন শ্রমিক এবং এ পরিচয়ে আমি গর্বিত’। উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা, শ্রমিক দলের পতাকা ও লাল পতাকা।
এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে উদ্যান এলাকায় মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে পুলিশের জলকামাল, প্রিজন ভ্যানও প্রস্তুত দেখা গেছে।
কাউন্সিলের পর মে দিবসে শ্রমিক সমাবেশে প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের সামনে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এই শ্রমিক সমাবেশে খালেদা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন।
খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দীতে পৌঁছান বিকেল সোয়া ৪টার দিকে। তিনি মঞ্চে ওঠার সময় নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। খালেদা জিয়া হাত নেড়ে শ্রমিকদের অভিনন্দনের জবাব দেন।
বিএনপি ও শ্রমিক দলের নেতারা সভামঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বেলা দেড়টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে হাজির হতে থাকেন দুপুরের আগে থেকেই।
সমাবেশ উপলক্ষে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা।
সভামঞ্চের সামনেই বড় হরফে লেখা দেখা যায়- ‘আমি একজন শ্রমিক এবং এ পরিচয়ে আমি গর্বিত’। উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা, শ্রমিক দলের পতাকা ও লাল পতাকা।
এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে উদ্যান এলাকায় মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে পুলিশের জলকামাল, প্রিজন ভ্যানও প্রস্তুত দেখা গেছে।