ঢাকা: হারতে হারতে ক্লান্তই ছিল বার্সা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ইতোমধ্যে বিদায়। শঙ্কায় পড়েছে লা লিগার শিরোপা নিয়েও। এমন দূরাবস্থার মধ্যে দাপুটে জয়ই ছিল ভক্তদের প্রত্যাশিত। শেষ অবধি তাই হয়েছে। বার্সা ফিরেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। লা লিগার ম্যাচে বুধবার রাতে ডিপোর্তিভো লা করুনাকে উড়িয়ে দিয়ে বার্সা জিতেছে গোল উৎসব করে (৮-০)।
দাপুটে এমন জয়ের নায়ক লুইস সুয়ারেজ। তিনি একাই করেছেন হ্যাটট্রিকসহ চারটি গোল। বাকি চার গোল এসেছে মেসি, র্যাকিটিক, বার্ত্রা ও নেইমারের কল্যাণে। এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষস্থানেই রয়েছে বার্সেলোনা।
ঘরের মাঠ বলেই শুরু থেকেই কিছুটা উজ্জীবিত ছিল ডিপোর্তিভো লা করুনা। কিন্তু শুরুতেই সুয়ারেজের গোল আতঙ্ক সৃষ্টি করে স্বাগতিকদের মনে। ১১ মিনিটেই ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। র্যাকিটিকের কর্ণার কিকে দক্ষতার সঙ্গে লা করুনার জাল কাঁপান উরুগুয়েন স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ।
এক গোল হজম করার পর ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে লা করুনা। কয়েকটি গোলের সুযোগও তৈরি করে। তবে পারেনি লক্ষ্যভেদ করতে। উল্টো ২৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে লা করুনা। এবারও গোলদাতা সেই সুয়ারেজ। ইনিয়েস্তার পাস থেকে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত ফ্লিক, ফাঁকায় বল পাওয়া সুয়ারেজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেননি। বার্সা লিড নেয় ২-০ গোলে।
এর মিনিট চারেক পরই গোল পেতে পারত লা করুনা। কিন্তু লুকাস পেরেসের শট বার্সেলোনার বারপোস্ট কাঁপিয়ে চলে যায় বাইরে দিয়ে। ৩৪ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার আলভেসের দেয়া বলে সুয়ারেজ যে শট নিলেন, তা চলে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তৃতীয় গোলটি পেয়ে যায় বার্সেলোনা। এবার গোলদাতা র্যাকিটিক। লুইস সুয়ারেজের বাঁকানো চমৎকার ক্রসে ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশিং দেন র্যাকিটিক। স্কোর লাইন তখন ৩-০।
৫৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন লুইস সুয়ারেজ। গোলের যোগানদাতা লিওনেল মেসি। মেসির বিচক্ষণ স্লাইড, সুয়ারেজের গোল। বার্সা তখন এগিয়ে ৪-০তে। সহজ জয় তখন দেখছে বার্সা সমর্থকরা।
তবে হ্যাটট্রিক করেও যেন মন ভরছিল না সুয়ারেজের। ৬৪ মিনিটে করলেন আরও একটি, সব মিলিয়ে নিজের গোল সংখ্যা হলো চারটি। এবার গোলের যোগানদাতা ছিলেন নেইমার। সুয়ারেজের প্রথম শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন লা করুনা ডিফেন্ডার। তবে রিবাউন্ড শটে গোল করেন উরুগুয়েন স্ট্রাইকার।
সুয়ারেজের দুই গোলের যোগানদাতা ছিলেন মেসি। সেই মেসিকে গোল বানিয়ে না দিয়ে থাকতে পারেন সুয়ারেজ? হলোও তাই। ৭৩ মিনিটে সুয়ারেজের হেড দিয়ে বাড়িয়ে দেয়া বলে গোল করেন লিওনেল মেসি। বার্সা তখন এগিয়ে ৬-০ গোলে। শেষ চমক তখনও বাকি। ৭৯ মিনিটে প্রায় একক প্রচেষ্টায় বার্সার হয়ে সপ্তম গোলটি করেন মার্ক বার্ত্রা। ৮১ মিনিটে লা করুনা কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার (৮-০)।