ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, মঙ্গলবার গভীররাতে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মুয়াজ্জিন হত্যার নেপথ্যে অর্থনৈতিক সম্পৃকতা রয়েছে। ভাড়াটে ও পেশাদার কিলাররা এতে অংশ নেয়। হত্যাকাণ্ডের পর খুনি দলটি ঢাকার বাইরে আত্মগোপন করে। হত্যাকাণ্ড অংশ নেওয়া তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, গতরাতে পুলিশের একটি দল বাবুবাজার এলাকায় কয়েকটি ড্রেনে আসামি নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে ওই এলাকায় অবস্থান করতে দেয়নি।
গত ৩ এপ্রিল রাতে ঝব্বু খানম মসজিদের তৃতীয় তলায় উঠার সিঁড়িতে গলাকেটে হত্যা করা হয় বিল্লাল হোসেনকে। পরের দিন সকালে পুলিশ তার হাতবাধা মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন অজ্ঞাতদের আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডেএর ৯ মাস আগে ওই মসজিদেই মুয়াজ্জিনকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা চালিয়ে নগদ ৬৫ লাখ টাকা লুটে নিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।