রোববার ভোর ছটা নাগাদ ঢাকা থেকে একটি বার্তা এসেছিল। বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের একটি কিশোরীকে পাচার করে আনা হয়েছে হাবড়ায়। কিশোরীর ছবিও এসেছিল। এরপরেই তৎপর হয়ে ওঠে হাবড়া থানা পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় বদর এলাকায় রয়েছে মেয়েটি। সেখানে তার স্বামী পরিচয় দিয়ে পাচারকারী একটি ইটভাটায় কাজ করার অজুহাতে আত্মগোপন করেছিল। পুলিশ গিয়ে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের অন্যতম চাঁই বাংলাদেশের মানিকগঞ্জের বাসিন্দা রুবেল দেওয়ানকে। মানিকগঞ্জেরই বছর পনেরোর কিশোরীটিকে প্রেমের ফাঁদে ভুলিয়ে ভাল থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে রুবেল নিয়ে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে। উদ্দেশ্য ছিল কিশোরীটিকে মোটা টাকার বিনিময়ে মুম্বইয়ের পতিতাপল্লীতে বিক্রি করা। তবে বিক্রির কাজে দেরি হওয়াতেই সে ইটভাটায় কাজ নিয়েছিল।
প্রায় একসপ্তাহ আগে মেয়েটিকে নিয়ে পাচারকারী বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে গোপনে ভারতে প্রবেশ করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীকে শিগগিরই হোমে রেখে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। গ্রেপ্তার হওয়া নারী পাচারকারী রুবেল দেওয়ানকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, মানিকগঞ্জে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২৫টি মেয়েকে মুম্বইয়ের পতিতাপল্লীতে এক থেকে সাত লাখ রুপির বিনিময়ে বিক্রি করেছে। এ দিন উদ্ধার হওয়া কিশোরীকেও সে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিল। বলেছিল, ভারতে তার ভাল ব্যবসা রয়েছে। সেখানে সে ভাল থাকবে। পুলিশ, রুবেলকে জেরা করে নারী পাচার চক্রের অন্য সদস্যদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।