আদালত অবমাননার দায়ে দুই মন্ত্রীর সাজা হওয়ায় সরকারের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আজ বিকালে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মন্ত্রী পদে থাকা যৌক্তিক কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, আমি এই বিতর্কে জড়াতে চাই না। তবে রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে নৈতিক দিক দিয়ে সবাই দায়বদ্ধ। কেন আমি পদত্যাগ করি নাই, পদত্যাগ করতে হলে আবার কারও কাছে কইয়া করতে হইবো না কি? এটা তাদের ন্যায়-নীতির উপর। আমাদের মনে রাখতে হবে, অসামাজিক, অনৈতিক, অন্যায় ও অবিচার কোনোটিই জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সবাইকে ন্যায়-নিষ্ঠার মধ্যে থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ন্যায়-নিষ্ঠা বাদ দিয়ে পৃথিবীর কেউ চলতে পারে না। বিচার ব্যবস্থাও হতে হবে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে। আমার হাতে ক্ষমতা থাকলেই আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি না। এসব বিষয় নিয়ে যিনি দায়িত্বে আছেন বা যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের আরও বেশি করে ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
মার্চের শুরুতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেমের আপিল মামলার রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে তাদের দুইজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ-, অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়।
মার্চের শুরুতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেমের আপিল মামলার রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে তাদের দুইজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ-, অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়।