গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি হরিনাচালা এলাকায় এক বাড়ির ভাড়াটিয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা ওই এলাকার মো. আমজাদ পাঠানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এ ঘটনায় শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলো, মো. আমজাদ পাঠান (৫০), মো. শাহীন (৪০), মো. ফজলু (৪৫) ও মো. জাহিদ (৬০)। তারা সকলেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি হরিনাচালাএলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মো. আমজাদ পাঠান, মো. শাহীন, মো. ফজলু ও মো. জাহিদ ধর্ষিতার স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে ঢোকে। তারা তার বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে ও কাগজপত্র দেখতে চায়। কাগজপত্র সাথে নেই বলে জানালে ধর্ষিতাকে মারধোর করে। পরে শাহীন ধর্ষিতার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তারা ধর্ষিতাকে জোর করে টানা হেচড়া করে আমজাদ পাঠানের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। পরে তার স্বামী বাসায় ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে তার ভাইসহ আমজাদ পাঠানের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদেরও বেধে আটকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ধর্ষিতাকে জোর করে পাশ্ববর্তী শাহীনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে শাহীন তাকে ধর্ষণ করে। পরে পালাক্রমে আমজাদ পাঠান ও ফজলু তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মো. জাহিদ বাইরে দাঁড়িয়ে ধর্ষণের কাজে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ধর্ষিতা বাংলানিউজকে জানান, কিছু দিন আগে তিনি স্বামীর সঙ্গে গাজীপুরে এসেছেন চাকরির জন্যে। পরে আমজাদ পাঠানের বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বসবাস শুরু করেন এবং চাকরি খুঁজতে থাকেন।
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।