গ্রাম বাংলা ডেস্ক: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দায়ে জিয়ার মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত।
শুক্রবার বেলা ১২টায় মতিঝিল ওয়াপদা মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সংগঠনটির সভাপতি মোল্লা আবুল কালাম আজাদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
পৃথিবীর কোনো দেশ গণতন্ত্র দিয়ে উন্নতি লাভ করতে পারেনি দাবি করে হানিফ বলেন, সিঙ্গাপুর উন্নত হয়েছে কারণ সেখানে একজন শাসক একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ ২৩ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে আমরাও উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাবো।
তিনি আরো বলেন, কার সাথে আলোচনা করবো। ২০ দলের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। অশুভ শক্তিকে মাঠে থাকতে দেয়া হবে না। বিএনপি-জামায়াতকে সমূলে বিনাশ করতে হবে। এদেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা আবারো ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মতো জঙ্গিবাদ দেখতে চান, না কি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চান।
তিনি আরো বলেন, অনেকে জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন। কিন্তু তিনি চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। পাকিস্তানীদের সোয়াত জাহাজের অস্ত্র খালাসের দায়িত্ব ছিলো জিয়ার। সেই অস্ত্রই আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। জিয়া স্বপ্রণোদিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি।
জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের নায়ক উল্লেখ করে হানিফ বলেন, অনেকে বলেন, সেসময় তো জিয়া দায়িত্বে ছিলেন না। কিন্তু জিয়া নেপথ্যে থেকে ভূমিকা পালন করেছেন। তাই মামলার পূণ:তদন্ত করে জিয়াকে মরণোত্তর বিচার করা হোক।
হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়া সবচেয়ে লাভবান হয়েছেন। জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছেন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় জিয়াই খুনী। বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে প্রমাণ করেছেন জিয়াও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন।
হানিফ বলেন, একাত্তরের পরাজয়ের চরম প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ’৭২ এর পর অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে ব্যর্থ বলা হয়েছে। সে সময় যে সব বামরা বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করতেন তারাও এখন বঙ্গবন্ধুর গুণকীর্তন করছেন। তারা ভুল বুঝতে পেরেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কর্মচারি লীগের সভাপতি মোল্লা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আফজালুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক কর্মচারি লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।