সরকারি দলের সব ভোটার ভোট দিলেতো এতো কম ভোট পড়তো না’

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি


ঢাকা:নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, অনাস্থার কারণে মানুষ ভোটে যায়নি, এটা আমার কাছে মনে হয়নি। জনগণ ছুটি পেয়েছে, অনেকে ছুটি ভোগ করেছে। কেউ কেউ ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তাই ভোটাররা ভোট দিতে যাননি। রোববার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অনাস্থার কারণে যদি ভোটে না যেতেন তাহলে যারা সরকারি দল তাদের তো অন্তত ভোটে অনাস্থা নাই। তাদের যদি সব ভোটার ভোট দিতেন, তাহলেওতো এত কম ভোট পড়তো না। তার মানে হলো যারা সরকারকে সমর্থন করেন, তাদেরও অনেক ভোটার ভোট দিতে যান নাই।
তার মতে, আমি না গেলেও সমস্যা নাই, এ ধরনের একটা মনোভাব থেকে হয়তো অনেকেই ভোট দিতে যান নাই। মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে পর্যবেক্ষকদের তো কিছু মতামত থাকবে। ভবিষ্যতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে কী করা যায়, সে বিষয়ে তাদের হয়তো পরামর্শ থাকবে। সেগুলো দেখে হয়তো কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে যান্ত্রিক ত্রুটি, ইন্টারনেটে ধীরগতিতে ফল প্রকাশে দেরি দ্রুত ফল প্রদান ও স্বচ্ছতার জন্য ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার সিটি (উত্তর ও দক্ষিণ) করপোরেশন নির্বাচনে। অথচ ভোট সম্পন্ন হওয়ার প্রায় ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে ভোটের ফল পেতে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম। তিনি বলেন, আমাদের ভোটগ্রহণ হয়েছে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সর্বোচ্চ সাড়ে ৫টা বা ৬টার মধ্যে ইভিএমের ফলাফল কেন্দ্রে হয়ে গেছে। ট্যাবের মাধ্যমে আমরা যে ফলাফল নিয়েছি, ওইখানে নেটওয়ার্কে বা আমাদের কিছু যান্ত্রিক বা টেকনিকাল ত্রুটির কারণে আমাদের ফলাফল দিতে বিলম্ব হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা নির্বাচিত হয়েছেন, ফলাফলের যে একীভূত বিবরণী, সেটা আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি। আজ বিকেলের মধ্যেই আমি ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেব। আমার মনে হয়, গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বেশি সময় লাগবে না। তবে এ সপ্তাহেই প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর সিটিতে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *