#Traffic_Management_Information_System
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক মামলা সংক্রান্ত ডেটাবেইজের জন্য একটি সার্ভার স্থাপন করেছে ।Traffic Management Information System নামের এই ডাটাবেলইজ প্রতিষ্ঠার ফলে সকল ট্রাফিক মামলা সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার অধীনে আনা হলো ।
এই ডাটা বেইজ তৈরী করাতে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে ।
১. Traffic Clearance :
ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আগে সকল কাগজপত্র, মামলার বান্ডিল বের করে করে সুনির্দিষ্ট গাড়ি নামে মামলা আছে কি নেই বের করতে হতো । এ্ই কাজটি আসলে পরিশ্রম সাধ্য, সেকেলে, সঠিক তথ্য বের করা প্রায় দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার । ডিজিটাল হওয়াতে এক ক্লিকেই যে কোন গাড়ির মামলা সংক্রান্ত তথ্য বের করা সম্ভব হবে ।
২. Repeated offence of Driving Licence/ Vehicle
মোটর যান আইনে একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তি দিগুন হওয়ার বিধান আছে । কিন্তু বিদ্যমান অ্যানালগ পদ্ধতিতে কোন গাড়ি দ্বিতীয়বার অপরাধ করলো, কোন চালক একই ড্রাইভিং লাইন্সেস ব্যবহার করে দ্বিতীয়বার অপরাধ করলো সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বের করা সম্ভব ছিলো না । ডিজিটাল হওয়াতে একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করার ক্ষেত্রে ধরা পড়ার সম্ভাবনা ১০০% নিশ্চিত হলো । ফলে এ দ্বিতীয়বার ট্রাফিক আইন ভাঙ্গলে শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে ।
ট্রাফিক আইন বার বার ভাঙ্গার অপরাধও কমবে ।
৩. Type of Vehicles prosecuted
কোন প্রকারের গাড়ি কি ধরণের অপরাধ করছে সেটা বের করা যাবে । এটি জরুরী । ডাটাবেইজ থেকে আমরা যদি অপরাধের সুনির্দিষ্ট প্যার্টার্ণ দাড় করাতে পারি সেটি ট্রাফিক আইন না মেনে চলা সংন্ক্রান্ত গবেষনা সহ পরবর্তী আইন তৈরী ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা হয় ।
৪. Offence Code-wise Prosecution list
বিভিন্ন সময় আমাদের সরকার নির্ধারিত অভিযান পরিচালনা করতে হয় । অভিযান চলাকালীন নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা সম্ভব হয় না সঙ্গত কারণেই । দেখা যায়, সিদ্ধান্ হলো ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে হবে । অভিযানে নেমে দেখা যায় অন্য ধারার মামলা বেশি হচ্ছে । সেক্ষেত্রে রিপোর্ট তৈরীর সময় সুনির্দিষ্ট ধারা সম্বলিত মামলার ডকুমেন্টসহ তথ্য বের করা শ্রমসাধ্য ব্যাপার । ডিজিটাল পদ্ধতিতে এইট সহজেই হবে । সেই সাথে উধ্বর্তন কতৃপক্ষকে সুনির্দিষ্ট ভাবে সুপারিশ করা যাবে ।
৫. Defaulter list of Vehicles
এটি একটি গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার । অনেকে শাস্তির জরিমানা পরিশোধ না করে দিনের পর দিন পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে চলার চেষ্টা করেন । বিলম্বেও জরিমানা পরিশোদ করেন না । এসব ক্ষেত্রে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হয় । আদালত এসব গাড়ি বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন । বিদ্যমান ব্যবস্থায় হাজার হাজার মামলার জমাকৃত কাগজ থেকে ডিফল্টার গাড়ি বের করা কঠিন একটি কাজ ছিলো । ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় এটি সহজেই বের করা যাবে ।
৬. এছাড়াও অফিসারদের কর্মদক্ষতা যাচাই, জোনভিত্তিক ট্রাফিক মামলার হার, থানায় জমাকৃত গাড়ীর তথ্যসহ হাজারো বিষয় খুব সহজেই করা যাবে ।
৭. আমরা এই ডাটাবেইজ পরিপূর্ণভাবে কাজ লাগাতে পারলে কিছুদিন পর ওয়েববেইজড ফরম্যাটে চলে যাবো । তখন সার্জেন্টদের হাতে স্মার্ট ডিজাইস দেয়া হবে যেটি দিয়ে ডিজিটাল মামলা দিতে মামলা দিতে পারবে তারা ।
এই কাজে কারিগরী সহযোগিতা দিচ্ছে সিস্টেম নেটওয়্যার নামক একটি প্রতিষ্ঠান ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি