টাইগারদের দ্রুততম টেস্ট শতকের মালিক তামিম

Slider খেলা

index

 

 

 

 

ঢাকা: নিজের শেষ ম্যাচে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরি করার রেকর্ড এখন কিউই এ তারকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ১০১তম ও শেষ টেস্টে মাত্র ৫৪ বলে বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যান তুলে নেন নিজের ১২তম সেঞ্চুরি।

সাদা পোশাকে দ্রুততম সেঞ্চুরির এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল ও ‘টাইগারদের ব্রাডম্যান’ খ্যাত মুমিনুল হক। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে এ দুই টাইগার ব্যাটসম্যান ১০০ বলের কম খেলেছেন। তবে, তালিকায় শীর্ষ ২৫ জনের মধ্যে না থাকলেও তামিম-মুমিনুল জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হিসেবে।

ম্যাককালামের আগে সাদা পোশাকে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন যৌথভাবে স্যার ভিভ রিচার্ডস ও মিসবাহ-উল-হক। তাদের সেঞ্চুরি আসে ৫৬ বলে। ক্যারিবীয়ান কিংবদন্তি ভিভ ১৯৮৫-৮৬’তে অ্যান্টিগুয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড গড়েছিলেন। আর পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ ২০১৪-১৫’তে আবুধাবিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভিভের সঙ্গে রেকর্ডে ভাগ বসান।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম শেষ পর্যন্ত ৭৯ বলে ২১ চার ও ছয় ছক্কায় ১৪৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন।

ছয় বছর আগে ২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম খেলেছিলেন দুর্দান্ত এক শতকের ইনিংস। যা তাকে বসিয়ে রেখেছে টাইগারদের হয়ে সাদা পোশাকে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হিসেবে। ৯৪ বলে শতক পূর্ণ করেন তামিম। যৌথভাবে ২৮তম স্থানে থাকা এ তালিকায় তামিমের সঙ্গী ৯৪ বলে শতক হাঁকানো পাকিস্তানের জহির আব্বাস, ভারতের সুনীল গাভাস্কার, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং বর্তমানে শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।

একই বছর একই প্রতিপক্ষ ইংলিশদের বিপক্ষে ওল্ডট্রাফোর্ডে তামিম খেলেছিলেন আরেকটি শতক হাঁকানো ইনিংস। ১০০ বলে পূর্ণ করেন সেই সেঞ্চুরিটি। তালিকায় যেটি রয়েছে ৩৪তম স্থানে।

মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিটি বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। টেস্টে দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় মুমিনুল হক রয়েছেন ৩২তম স্থানে। ৯৮ বলে পূর্ণ করা সেই শতকটি আসে ২০১৩ সালে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরিটির দেখা পান মুমিনুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *