‘আসল বিএনপি’ নামে একটি দল কিছুদিন আগে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করতে গিয়ে ধাওয়ার শিকার হয়েছিল দলটি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অবশ্য এই দখল প্রচেষ্টাকারীদের বলেছেন, টোকাই। রাজনীতিতে অনেকেই অনেক সময় এ ধরনের উপমা ব্যবহার করে থাকেন। যদিও আসলে এ ধরনের উপমা ব্যবহার করা উচিত নয়। খুব কম আদম সন্তানই স্বেচ্ছায় টোকাই হন। ভাগ্য-প্রবঞ্চনা তাদেরকে পরিণত করে টোকাইয়ে। সে কাহিনী আলাদা।
আসল বিএনপি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কি তা বলা বা বুঝার সময় এখনও আসেনি। তবে আসল বিরোধীদল নামে অন্য একটি প্রকল্প যে সক্রিয় হাল জমানার রাজনীতিতে তা স্পষ্ট। ৫ই জানুয়ারির বিখ্যাত নির্বাচন বাংলাদেশে অনেক নতুন কিছুরই আমদানি করেছে। যা হয়তো পৃথিবীর ইতিহাসেই নজিরবিহীন। গৃহপালিত বিরোধী দল বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে একইসঙ্গে সরকার এবং বিরোধী দলে থাকার রেকর্ড জাতীয় পার্টিরই। এ নিয়ে অবশ্য সারা দুনিয়াতেই কৌতূহল তৈরি হয়। সে কৌতূহল দুই বছরেও মিটেনি। এই যখন পরিস্থিতি তখন রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরির চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রংপুর গিয়েই তিনি আচমকা ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টিতে কো-চেয়ারম্যান নামে একটি পদ তৈরি হয়েছে। ওই পদে তিনি নিয়োগ দেন তার ছোটভাই জিএম কাদেরকে। একইসঙ্গে কাদেরকে নিজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারও ঘোষণা করেন এরশাদ। এ কথা অবশ্য সত্য, জিএম কাদের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এরশাদের ঘোষণায়, জাপার রাজনীতিতে চাপান উতোর তৈরির একটি দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা চলে। ঢাকায় জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ঘোষণা করেন, রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যদিও কয়েক ঘণ্টাতেই সে ঘোষণা উবে যায়। বাবলু মহাসচিবের পদ হারান। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চিঠি চালাচালি হলেও দৃশ্যত এরশাদের সিদ্ধান্তই মেনে নেন সবাই।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জাতীয় পার্টির এসব নাটকীয়তা রাজনীতিতে খুব বেশি চাঞ্চল্য তৈরি করতে পারেনি। এসবই পূর্ব-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন বলে মনে করেন তারা। মূলত জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এসব ঘটনা ঘটছে। সরকারের সামনে আপাত দৃষ্টিতে কোন চ্যালেঞ্জ না থাকলেও এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কারও কারও মধ্যেও রয়েছে চাপা অসন্তোষ। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। বুঝানো হচ্ছে জাতীয় পার্টিতে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
কোন কোন পর্যবেক্ষক মনে করেন, নাটকীয়ভাবে দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনও হতে পারে। তাছাড়া, শুধু ২০১৯ সাল নয়, নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আরও বহুদূরে। সে দৃষ্টিকে কেন্দ্র করেই নেয়া হচ্ছে নানা প্রকল্প। ২০ দলীয় জোটে ভাঙন সৃষ্টির তৎপরতা এরইমধ্যে কিছুটা সফলতার মুখ দেখেছে। জোটের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপির ভেতরেও কিছু তৎপরতার খবর আসছে। যদিও এতে এখনও তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে খালেদা জিয়ার কোন মামলা চূড়ান্ত পরিণতির দিকে গেলে রাজনীতিতে আরও নাটকীয়তার জন্ম হতে পারে।
আসল বিএনপি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কি তা বলা বা বুঝার সময় এখনও আসেনি। তবে আসল বিরোধীদল নামে অন্য একটি প্রকল্প যে সক্রিয় হাল জমানার রাজনীতিতে তা স্পষ্ট। ৫ই জানুয়ারির বিখ্যাত নির্বাচন বাংলাদেশে অনেক নতুন কিছুরই আমদানি করেছে। যা হয়তো পৃথিবীর ইতিহাসেই নজিরবিহীন। গৃহপালিত বিরোধী দল বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে একইসঙ্গে সরকার এবং বিরোধী দলে থাকার রেকর্ড জাতীয় পার্টিরই। এ নিয়ে অবশ্য সারা দুনিয়াতেই কৌতূহল তৈরি হয়। সে কৌতূহল দুই বছরেও মিটেনি। এই যখন পরিস্থিতি তখন রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরির চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রংপুর গিয়েই তিনি আচমকা ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টিতে কো-চেয়ারম্যান নামে একটি পদ তৈরি হয়েছে। ওই পদে তিনি নিয়োগ দেন তার ছোটভাই জিএম কাদেরকে। একইসঙ্গে কাদেরকে নিজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারও ঘোষণা করেন এরশাদ। এ কথা অবশ্য সত্য, জিএম কাদের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এরশাদের ঘোষণায়, জাপার রাজনীতিতে চাপান উতোর তৈরির একটি দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা চলে। ঢাকায় জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ঘোষণা করেন, রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যদিও কয়েক ঘণ্টাতেই সে ঘোষণা উবে যায়। বাবলু মহাসচিবের পদ হারান। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চিঠি চালাচালি হলেও দৃশ্যত এরশাদের সিদ্ধান্তই মেনে নেন সবাই।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জাতীয় পার্টির এসব নাটকীয়তা রাজনীতিতে খুব বেশি চাঞ্চল্য তৈরি করতে পারেনি। এসবই পূর্ব-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন বলে মনে করেন তারা। মূলত জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এসব ঘটনা ঘটছে। সরকারের সামনে আপাত দৃষ্টিতে কোন চ্যালেঞ্জ না থাকলেও এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কারও কারও মধ্যেও রয়েছে চাপা অসন্তোষ। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। বুঝানো হচ্ছে জাতীয় পার্টিতে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
কোন কোন পর্যবেক্ষক মনে করেন, নাটকীয়ভাবে দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনও হতে পারে। তাছাড়া, শুধু ২০১৯ সাল নয়, নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আরও বহুদূরে। সে দৃষ্টিকে কেন্দ্র করেই নেয়া হচ্ছে নানা প্রকল্প। ২০ দলীয় জোটে ভাঙন সৃষ্টির তৎপরতা এরইমধ্যে কিছুটা সফলতার মুখ দেখেছে। জোটের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপির ভেতরেও কিছু তৎপরতার খবর আসছে। যদিও এতে এখনও তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে খালেদা জিয়ার কোন মামলা চূড়ান্ত পরিণতির দিকে গেলে রাজনীতিতে আরও নাটকীয়তার জন্ম হতে পারে।