গাজীপুর অফিস : ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু রাখতে এবার ডিজিটাল নজরদারী তিন গুন বাড়ানো হয়েছে । বিভিন্ন পয়েন্টে মোট ৬০ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে । সাথে থাকছে আইপি ক্যামেরাও ।দুই পর্বে মোট দেড় হাজার ট্রাফিক পুলিশ তিন শিফটে মোট ২৪ ঘন্টা দিনে ও রাতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে ।নিয়মিত আপডেট থাকবে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের ফেসবুক পেজে । এছাড়া নানা মুখী পরিকল্পনা রয়েছে যানজট নিয়ন্ত্রণে ।
০৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রথম দফা এবং ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ দু’পর্বের ইজতেমা উপলক্ষে মুসল্লিদের নিরাপদ যাতায়াত ও সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের জন্য ০৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা এবং ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টঙ্গী ও এর আশেপাশের এলাকায় গাড়ি পার্কিং করতে ও যানবাহন চলাচলে গাজীপুর জেলার ট্রাফিক বিভাগ যানজট নিয়ন্ত্রণে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে-উল্লেখিত সময়ে ধৌর ব্রিজ থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে প্রগতি সরণি এবং টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত (বিমানযাত্রী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতিত) সব যানবাহন বন্ধ থাকবে। ঘোড়াশাল থেকে পূবাইল-কালীগঞ্জ হয়ে আগত যানবাহন টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের আগে মরকুন (কে-২ ফ্যাক্টারী) পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে ঘোড়াশাল হয়ে ঢাকাগামী যানবাহন কাঁচপুর/যাত্রাবাড়ী সড়ক ব্যবহার করবে। ইজতেমায় গমণেচ্ছু মুসল্লি, উত্তরার অধিবাসী, বিমানযাত্রী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য সব যানবাহন চালকদের বিমান বন্দর সড়কের পরিবর্তে মিরপুর-সাভার সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। ঢাকা মহনগরের যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমা স্থলে যাবেন তাদের শাহজালাল বিমানবন্দর গোল চত্বর আজমপুর-আব্দুল্লাহপুর হয়ে টঙ্গী ব্রিজ পরিহার করে তুরাগ নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামারপাড়া ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে।
মুসল্লিদের যানবাহন পার্কিংয়ের জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট স্থানঃ
ঢাকা বিভাগ (ঢাকা জেলা ও গাজীপুর জেলা ব্যতীত) : সোনারগাঁও সড়ক ও জনপথ সড়কের আগ থেকে পশ্চিম প্রান্ত।
ঢাকা জেলা (ঢাকা মহানগর ব্যতীত) : আশুলিয়া কলেজ এবং আশুলিয়া স্কুল মাঠ।
ঢাকা মহানগর এলাকাঃ সাধারণ পার্কিং ১- নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার খালি জায়গা। সাধারণ পার্কিং ২- উত্তরা ৬নং সেক্টর ও রাজউক কলেজের আশেপাশের খালি জায়গা।
গাজীপুর জেলাঃ টঙ্গীর কে-২ অথবা নেভি সিগারেট কারখানা সংলগ্ন এলাকা, কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল প্রাঙ্গণ ও সংলগ্ন এলাকা, মেঘনা টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন রাস্তার উভয় পাশে, সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি মাঠ, গাজীপুর সদরে চান্দনা চৌরাস্তা ট্রাক টার্মিনাল, চান্দনা হাইস্কুল মাঠ, ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের মাঠ।
চট্টগ্রাম বিভাগঃ উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউছুল আজম ও গরীবে নেওয়াজ রোডের উভয় পাশে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগঃ উত্তরা ১০ নং সেক্টরের খালি জায়গা এবং কামারপাড়া হাউজিং মাঠ।
খুলনা বিভাগঃ উত্তরা ১০ ও ১১ নং সেক্টর সড়কের উভয় পাশে।
বরিশাল বিভাগঃ উত্তরা ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গায়।
সিলেট বিভাগঃ উত্তরা ১২ নং সেক্টর, বরিশাল বিভাগ পার্কিং ধৌর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন এলাকা।