বগুড়া: শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চককানু গ্রামে শিয়া সম্প্রদায়ের হরিপুর আল-মোস্তফা জামে মসজিদে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত র্যাব-পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
পুলিশ যাদের আটক করেন তারা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের মোলামগাড়ি এমদাদুল উলুম কওমি মাদরাসার প্রিন্সিপাল সামছুল আলম (৬০), একই মাদরাসার শিক্ষক ও প্রিন্সিপালের ছেলে আবু হাসান (২৪), মাঝিহট্ট গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য জেএমবি সংগঠক আনোয়ার হোসেন (৪৮) এবং হরিপুর গ্রামের জুয়েল মিয়া (২৫)।
শুক্রবার রাতে সামছুল আলম ও আবু হাসানকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এর আগে বৃহস্পতিবার সাবেক সেনা সদস্য জেএমবির সংগঠক আনোয়ার হোসেন (৪৮) এবং জুয়েল মিয়া নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
র্যাব যাদের আটক করেন তারা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে মিনহাজ (১৮), আলাদীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শাহিনুর রহমান (২১) ও আমতলী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রায়হান মিয়া (২৮)। র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে, র্যাবের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আটকের কথা স্বীকার করা হয়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, আটককৃতদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চককানু গ্রামে শিয়া সম্প্রদায়ের আল-মোস্তফা জামে মসজিদে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে মোয়াজ্জিন নিহত হন। এছাড়া এ ঘটনায় আরও তিন মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হন।