গ্রাম বাংলা ডেস্ক: কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় স্ত্রীকে বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে তিতাস উপজেলার গাজীপুর গ্রামে।
রোববার পুলিশ গাজীপুর গ্রামের পুকুর পাড়ের ঝোঁপ থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস পূর্বে উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মোঃ মেহরাজ মিয়ার মেয়ে ছালমা আক্তারকে (১৮) একই উপজেলার গাজীপুর গ্রামের পাতলা পট্টির মোঃ অছেক মিয়ার ছেলে মোঃ ইউসুফ মিয়ার (২৩) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইউসুফ মিয়া স্ত্রী ছালমা আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে নগদ টাকা নিয়ে আনার জন্য চাপ দেয়। নববধূ বাবার বাড়ি থেকে নগদ টাকা আনতে অস্বীকার করে। তারপর তার স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে চাইলে তাতেও রাজি হয়নি। এর জের ধরে ইউসুফ মিয়া শনিবার রাতে বন্ধুদের দিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পার্শ্বে ঝোঁপের মধ্যে কয়েকজন ধর্ষণ করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে রাতে সেহেরি খাওয়ার সময় বাড়ি এসে ইউসুফ চিৎকার করে বলে ছালমা পালিয়ে গেছে। তখন বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। পরে বাড়ির পার্শ্বে পুকুর পাড়ে ছালমার লাশ বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহত ছালমার বাবা মোঃ মেহরাজ মিয়া জানান, দেড় মাস আগে বিয়ে হয়। মেয়ের বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার দিয়েছি। মেয়ের স্বর্ণ আত্মসাতের জন্য ইউসুফ তাকে হত্যা করেছে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোঃ আবদুল হান্নান জানান, নববধূর স্বামী ইউসুফ মিয়াকে সন্দেহ হলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ স্বীকার করেছে, স্ত্রীর দুই ভরি স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে চেয়েছিল, তা না দেয়ায় বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করা হয়। মামলার স্বার্থে ধর্ষণকারী নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। নিহতের বাবা মেহরাজ মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণকারীদের ধরার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।