আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘উন্মুক্ত যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

Slider সারাবিশ্ব


পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ হুঁশিয়ার করে দিয়ে দিয়ে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন আফগানিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু ইস্তাম্বুলে চলমান আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে তা উভয় দেশকে ‘‘উন্মুক্ত যুদ্ধের’’ দিকে নিয়ে যাবে। শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আগে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এর মাঝেই শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের মাঝে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের চলমান উত্তেজনা প্রশমন ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দু’দিন ধরে এই আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

রয়টার্স বলেছে, ইস্তাম্বুলে শনিবার শুরু হওয়া এই আলোচনা রোববার পর্যন্ত চলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০২১ সালে তালেবানের কাবুল দখলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘাতে নতুন করে সহিংসতা প্রতিরোধের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে ইস্তাম্বুলের ওই আলোচনাকে।

প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত সংঘাতের অবসানে দোহা চুক্তির মাধ্যমে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিকে দীর্ঘমেয়াদে সচল রাখার প্রক্রিয়া নির্ধারণের লক্ষ্যে ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসছে ইসলামাবাদ ও কাবুল।

খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেন, চুক্তি হওয়ার পর গত চার থেকে পাঁচ দিনে নতুন করে কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি এবং উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে।

আফগানিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে বিকল্প আছে; যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে উন্মুক্ত যুদ্ধ হবে। তবে আমি দেখেছি, তারা শান্তি চায়।’’

চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সময় ইসলামাবাদ অভিযোগ করে জানায়, আফগানিস্তানের ভেতর থেকে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গিদের দমনে ব্যর্থ হচ্ছে তালেবান সরকার।

এরপর পাকিস্তান সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও পার্শ্ববর্তী আরেকটি প্রদেশে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানের এই হামলার পর উভয়পক্ষ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তঃসীমান্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলায় কয়েক ডজন সামরিক ও বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

এছাড়া উভয় দেশের মাঝে চালু থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সীমান্তপথও বন্ধ হয়ে যায়। সংঘাতের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেসব সীমান্তপথ বন্ধ রয়েছে।

ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, কাবুল পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। যদিও তালেবান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, পাকিস্তানের সামরিক অভিযান আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে।

সূত্র: রয়টার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *