বিএনপি ভেঙে খান খান হয়ে যাবে: হানিফ

Slider রাজনীতি

004_170146

 

 

 

 

বিএনপি ভেঙে ‘খান খান’ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ দল ভাঙার রাজনীতি করে না। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভাকে সামনে রেখে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আপনি লন্ডনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই করুন না কেন, ওই ষড়যন্ত্রে সরকারকে আপনি কিছু করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারেও কিছু হবে না। বরং আপনার ষড়যন্ত্র যত গভীর হবে, আপনার দল তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতিমধ্যে আপনার দলের মধ্যে ভাঙন শুরু হয়ে গেছে। এই ভাঙনে বিএনপি খান খান হয়ে যাবে। আপনি সেই অপেক্ষায় থাকুন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের বিষয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি সাম্প্রতিককালে সন্ত্রাসী যে কর্মকাণ্ড করেছে, এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। অনেকে হয়তো নিজেদের পদ-পদবির কারণে এবং অনেকে হয়তো ব্যক্তিগত সুবিধার কারণে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নীরবে মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বিএনপির আরও বহু নেতা আছেন, যাঁরা বিএনপির যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেওয়ার জন্য সেই দল থেকে বেরিয়ে আসবেন।’
সরকার বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের খানের এমন মন্তব্যের বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘আমরা নাকি দল ভাঙা গড়ার রাজনীতি করছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনো দল ভাঙাগড়ায় বিশ্বাসী নয়। এটা শুরু করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমান। বিএনপির মতো দলকে ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগের কোনো তৎপরতাও নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) জাতীয় সংসদকে অকার্যকর হিসেবে মন্তব্য করার কঠোর সমালোচনা করেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ টিআইবিতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। একজন মানুষের জ্ঞানের অভাবে ভুল তথ্য দিতে পারে। কিন্তু একজন শিক্ষিত মানুষ ভুল তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তখন কিন্তু মানুষের মধ্যে সন্দেহ জাগে—আসলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী? এর মধ্যে দিয়ে টিআইবি প্রমাণ করেছে তারাও এই ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা অ্যাজেন্ডা নিয়ে নেমেছে। তারা বিএনপির পক্ষে এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। এর জন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।
হানিফের সভাপতিত্বে যৌথসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামাল, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক শাহে আলম, ইসহাক আলী খান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, মাযহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, তানভীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *