ছবি (জয়দেবপুর থানা)
গাজীপুর: আওয়ামীলীগের প্ররোচনায় এক বিএনপি নেতাকে আওয়মীলীগ বলে বৈষম্য বিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার করার সাথে সাথে জামিন দিয়েছে আদালত। একই পুলিশের গ্রেপ্তার করা আরেক যুবলীগ নেতাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এক যুবদল নেতা।
গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানায় ঘটে এসব ঘটনা।
জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে জোরপূর্বক আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানমতে, শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মেম্বার বাড়ি এলাকায় আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেয়া যুবলীগ নেতা রাজু আহমেদ গাজীপুর সদর উপজেলা যুব লীগের সহ সভাপতি। আর আসামী ছিনিয়ে নেয়া মামুন শিকদার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
জয়দেবপুর থানার এসআই বাহার আলম জানান, যুবলীগ নেতা রাজু আহমেদকে আটকের পর থানায় নিয়ে আসার সময় কিছু লোক গাড়ি থেকে জোরপূর্বক তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এই পর যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন শিকদারকে ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবিনের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, যুবদল শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদল শাখায় লিখিত জবাব দিতে হবে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য যথাযথ জবাব প্রদান না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ জানান, “মামুন শিকদার সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যথাযথ জবাব প্রদান না করলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে জয়দেবপুর থানা পুলিশ বাড়িয়া ইউনিয়নের কুমুন গ্রামের নূর মোহাম্মদ খান(৪৭) কে ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে বৈষম্য বিরোধী মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পুলিশ আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে নূর মোহাম্মদকে আওয়ামীলীক হিসেবে উল্লেখ করে। নূর মোহাম্মদের আইনজীবী নূর মোহাম্মদকে বিএনপির নেতা হিসেবে আদালতে প্রমাণপত্র দাখিল করলে আদালত জামিন দেয়।
এই বিষয়ে নূর মোহাম্মদ খান বলেন, আমাকে আওয়ামীলীগ বলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে চালান দেয় পুলিশ । কিন্তু আমি বিএনপির নেতা ও আওয়ামীলীগের সময় ৭ টি মামলা খেয়েছি। আদালতে বিএনপির কাগজপত্র জমা দেয়ার পর জামিন পাই। আমি নির্যাতিত, ন্যায় বিচার চাই।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদের জন্য রাজু আহমেদকে থানায় নিয়ে আসার সময় জোরপূর্বক ভাবে ছিনিয়ে নিয়ে যায় যুবদলের নেতাকর্মীরা এই ঘটনায় আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।