চট্টগ্রামে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন গত ১০ আগস্ট। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত)। এখন সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে ওই তরুণী বাদী হয়ে একটি মামলাটি দায়ের করেছেন।
এই ঘটনায় আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম ওমর ফারুক।
বাদীর আইনজীবী রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে বাদী গত ১০ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। আদালত মামলাটি বোয়ালখালী থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে বাদী ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাদীকে মুঠোফোনে কুপ্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই তরুণীকে ২৭ আগস্ট নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যান। সেখানে ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু তরুণীর সঙ্গে তাঁর এক ছোট ভাই থাকায় তিনি ব্যর্থ হন। পরে ১৫ অক্টোবর ওই কর্মকর্তা বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকায় তরুণীকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এই ঘটনায় তরুণী আজ মামলা করেন। মামলায় তিনজনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। আদালত ওই তরুণীর বক্তব্য শুনে মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর ফারুক। তিনি আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীটি ধর্ষণের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করেছিলেন। তদন্তে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনটি তরুণীর পক্ষে না যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের মামলা করেছেন।