রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকান্ডের ঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় সাতটি মামলা রুজু হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী,এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সহ আমাসী ৩৫১ জন। অজ্ঞাত আসামী রয়েছে ১৬৫০-২১০০জন। সব মিলিয়ে সাত মামলায় আাসামী ২৪৫১জন। এসব মামলায় শ্রীপুরে কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ এসব মামলায় অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলেন উপজেলার ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত হযরত মন্ডলের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান মন্ডল(৪৬) এবং নগর হাওলা গ্রামের মো. সিরাজুল হক মাদবরের ছেলে মুকুল ইসলাম(৩৫)।
মামলা ও বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শ্রীপুরে গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যবরণ কারীদের স্বজনরা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ছয়টি হত্যা মামলা করেছেন। এছাড়া বর্ডারগাড বাংলাদেশ র্( বিজিবি) বাদী হয়ে হাজার হাজার অজ্ঞাত আসামীর বিরুদেদ্ধ আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এসব মামলার মধ্যে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯(৮)২৪ নং মামলায় অভিযুক্ত ৩৭জন, ১০(৮)২৪ নং মামলায় ৬০ জন, ৩(৯)২৪ নং মামলায় ৪২জন,৪(৯)২৪ নং মামলায় ৮৭জন, ৭(৯)২৪নং মামলায় ১০১জন, ১৪(৯)২৪নং মামলায় ২৪জন । অপর দিকে বিজিবির করা ৩০(৯)২৪নং মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে হাজার হাজার জনকে।
মামলার পর থেকে অভিযুক্ত আওয়ামীলীও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা আত্ম গোপনে রয়েছেন। আওয়ামীরীগের নেতা কর্মীদের চোখে পরেনা। প্রাণহানীর ঘটনায় করা মামলার আসামী গুলো মধ্যে শেখ হাসিনা সহ অনেকেই রয়েছেন দেশের বাইরে। এরই মধ্যে আইনশৃংখলা বাহীনি কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। মঙ্গলবার রাতে প্রথম পুলিশ বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলা নং ৭(৯)২৪’র অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান ও ৪(৯)২৪ নং মামলায় অভিযুক্ত মুকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আক্তার জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এর আগে শ্রীপুরে কাওকে গ্রেফতার করা হয়নি। বুধবার রাতে প্রথম দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।