রাজশাহীর তানোরে সেই স্কুল পড়–য়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্তা হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষার নামে প্রতারণা করা হয়েছে। ফরেনসিক বিভাগে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিষয়টি এলাকায় প্রকাশ পেলে তোলপাড় শুরু হয়। জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপি এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্রীকে একাধিক বার দৈহিক মিলনের ফলে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। ধর্ষক আজিম উদ্দীন উপজেলার দুবইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের ভাতিজা। ধর্ষকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী গত মঙ্গলবার থানায় মামলা করেন। মামলার পরে আপোষ মিমাংসা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা। মামলা থাকায় আপোষ করে মামলা তোলার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল আঁকেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার থানা পুলিশের সহায়তায় রামেক হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষার নাম করে নিয়ে পরীক্ষা না করেই ফেরত পাঠান ওই ছাত্রীকে। আপোষ মিমাংসায় মূল দায়িত্বে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী, কৃষক লীগের সভাপতি জাইদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক বিজেন্দ্রনাথ, ইউপি যুবলীগ সভাপতি ও দুবইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম সহ অনেকে। অবশ্য উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন রামেক হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা না করে মেয়েকে ফেরত আনার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে ফরেনসিক বিভাগের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কমকর্তা বলেন, ওই মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। পরীক্ষা না করেই কয়েকজন লোক তাকে নিয়ে চলে যান। তাদের মুখ থেকেই শোনা যায় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আখের আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসামী গ্রেফতারের জন্য গত শনিবার আমি সহ ওসি স্যার ধর্ষকের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়েছিল। ধর্ষক আজিম উদ্দীন বাড়ীতে না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায় নি। আপোষ মিমাংসার বিষয়টি আমার জানা নেই। ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ৩টি পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে সময় লাগবে। এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।