ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি)-২০৩০কে একটি সম্মিলিত যাত্রা হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটি বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনসহ সকল উৎস থেকে আমাদেরকে সম্পদ সংগ্রহ করতে হবে। তা না হলে লক্ষ্য পূরণ কষ্টকর হবে।
জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশের নিজস্ব সাইড ইভেন্ট হিসেবে আয়োজিত এমডিজি ও এসডিজি’র ওপর এক উচ্চপর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
৭০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্কে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডের রাজা উইলিয়াম আলেক্সান্ডার, বেনিন প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট বোনি ইয়া’ই, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান এল ফেভেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট মোগেনস লেকটোফট, ইউএনডিপি’র প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক, ইউএন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি গায়ান চন্দ্র আচার্য এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত মাহমুদ মহিউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা এতে সমাপনী ভাষণ দেন। তিনি আরও বলেন, এমজিডি অর্জনের মতো এসডিজি অর্জন করে বাংলাদেশ আরো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বাংলাদেশকে একটি প্রগতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই যাত্রায় কেউ পিছু হটবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তি এবং উন্নয়ন ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক সমর্থন প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, কৃষি, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে পরিবেশ উপযোগী প্রযুক্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় বাংলাদেশকে একটি উন্নয়ন বিস্ময় দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন বিশ্ব নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক বেশি অগ্রগতি হয়েছে।অনেক উন্নয়ন চিন্তাবিদদের ধারণা বাংলাদেশ ভুল প্রমাণিত করেছে।
নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী: বিভিন্ন দেশের রেড অ্যালার্ট জারি দুঃখজনক