সোমালিয়ার জলদস্যুদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে।
আজ সোমবার রাতে জাহাজটি কুতুবদিয়া পৌঁছাবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে বোট বা লাইটার জাহাজে সদরঘাট জেটিতে আনা হবে। সেখানে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি হওয়ার ৬৪ দিন পর স্বজনের সাথে মিলিত হবেন নাবিকরা।
কুতুবদিয়ায় নোঙর করলে নাবিকদের আরেকটি গ্রুপ পাঠাবে জাহাজটির মালিকপক্ষ। বন্দিদশা থেকে মুক্ত নাবিকদের তারা নিয়ে আসবেন তীরে। সদরঘাট জেটিতে তাদের নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম।
জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র সূত্র জানিয়েছে, কুতুবদিয়া চ্যানেলে পণ্য খালাস শেষেই জাহাজটি নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দেবে। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের সদরঘাটে নাবিকদের বরণ করে নেয়া হবে।
কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।
ওকেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।
জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে নাবিকরা গণমাধ্যমের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন বলে জানান তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজকে বন্দি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। অনেক দেন-দরবারের পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা।