ছবি( মিজানুর রহমান)
ইসমাইল হোসেন, গাজীপুর : বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাসাবোর বাসা থেকে ট্রেনে ডিউটি করতে বেরিয়েছিলেন স্টুয়ার্ড মিজানুর রহমান। শুক্রবার জয়দেবপুর জংশন এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েন রেলওয়ের এই কর্মচারী। এখন পর্যন্ত তিনি এক কাপড়েই ট্রেনে ডিউটি করছেন। স্ত্রী সন্তানের কাছে যাওয়ার জন্য তিনি ব্যকুল হয়ে গেছেন।
আজ শনিবার( ৪ মে) বিকাল ৫ টা ৩৫ মিনিটে হাওর এক্সপ্রেসে কর্তব্যরত এই কর্মচারী আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ১২ ঘন্টা ডিউটি করে বাসায় ফিরি। বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে বের হই। কিন্তু জয়দেবপুরে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এতে এক কাপড়ে ট্রেনেই আটকা পড়ে আছি। জানিনা কখন পরিবারের কাছে যাব। দীর্ঘ সময় এক কাপড়ে ডিউটিতে থাকায় অসুস্থ অনুভব করছি।
টৃেনের স্টাফ মিজানু রহমানের মত আটকা পড়ে অস্বস্তিতে থাকা যাত্রী সম্রাট ও স্বাধীন নামে ২০/২৫ বছর বয়সী দুই বন্ধু বলেন, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে এক ট্রেনে জয়দেবপুর আসলাম। এখানে চার ঘন্টা বসে আছি, জানিনা কখন জামালপুর যাব। এখন কোন ট্রেন পাচ্ছি না। কখন পৌছব আল্লাহই ভালো জানেন।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা-জয়দেবপুগতকালর রেলরুটের জয়দেবপুরে কাজী বাড়ি এলাকায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৯ টি বগি লাইন চ্যুত হয়। এসময় তেলবাহী ট্রেনের ৯টি ওয়াগনের মধ্যে কয়েকটি ওয়াগনে ফাটল ধরলে তেল ঝরা শুরু হয়। এই ঘটনার পর প্রায় তিন ঘন্টা ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ডিজেল ভর্তি তেলবাহী ট্রেনের বিপদজনক ওয়াগন সহ উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্ন করতে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
এদিকে এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সকল ট্রেন বিলম্বে যাতায়াত করছে। উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।