বই পড়েও সময় কাটিয়েছেন যাত্রীরা

Slider টপ নিউজ

ইসমাইল হোসেন, গাজীপুর : দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ৩০ ঘন্টায়ও উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি । এক লাইনে ট্রেন চলায় জয়দেবপুর জংশনকে ঘিরে আশপাশের পাঁচ স্টেশনে ছয়টি ট্রেন আটকা পড়েছে। ফলে নতুন ট্রেন প্রবেশ করতে পারছে না। এতে যাত্রী ভোগান্তি বেড়েই চলছে। যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।

আজ শনিবার( ৪ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল হোসেন এই তথ্য জানান।

রেলওয়ের দেয়া তথ্যমতে, জয়দেবপুর স্টেশনে বেলা ২ টা থেকে আটকা পড়েছে ৭৭৮ নম্বর আন্ত:নগর হাওর এক্সপ্রেস। মৌচাক স্টেশনে ৭৯২ নম্বর বনলতা এক্সপ্রেস, ভাওয়াল গাজীপুর স্টেশনে ৫২ ডাউন দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, রাজেন্দ্রপুর স্টেশনে ভাওয়াল এক্সপ্রেস, টঙ্গী স্টেশনে ৭৮৯ নম্বর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস আটকা পড়েছে। আটকাপড়া ট্রেনগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা ছেড়ে যেতে না পারার কারণে নতুন কোন ট্রেন এসব স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

জয়দেবপুর স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে আটকা পড়া যাত্রী মহিউদ্দিন (৭৫) জানান, গফরগাঁও থেকে এসেছি ঢাকায় যাব। ট্রেনে আটকা পড়ে এখন হাদিসের বই পড়ে সময় কাটাচ্ছি।

অপর যাত্রী গোলাম কিবরিয়া বলেন, অসুস্থ মা স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় যাচ্ছি। ট্রেনে আটকা পড়ায় রোগীরা গরমে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানায়, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দুই বাচ্চা নিয়ে বিপদে আছি।

নেত্রকোনা থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী নেকিল চন্দ্র বলেন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। জয়দেবপুর স্টেশনে তিন ঘন্টা আটকা আছি। জানিনা কখন পৌছব।

গতকাল শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলরুটের জয়দেবপুরে কাজী বাড়ি এলাকায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৯ টি বগি লাইন চ্যুত হয়। এসময় তেলবাহী ট্রেনের ৯টি ওয়াগনের মধ্যে কয়েকটি ওয়াগনে ফাটল ধরলে তেল ঝরা শুরু হয়। এই ঘটনার পর প্রায় তিন ঘন্টা ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে ডিজেল ভর্তি তেলবাহী ট্রেনের বিপদজনক ওয়াগন সহ উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্ন করতে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।

এদিকে এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সকল ট্রেন বিলম্বে যাতায়াত করছে। উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *