ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশোরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।
তবে ইরানের ছোড়া ১৭০টি ড্রোন ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটিও নিজেদের আকাশসীমায় পৌঁছাতে পারেনি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
এর মধ্যে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা। এতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধবিমান থেকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, ইরানের ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলে আসার পূর্বেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পড়ে একটি ঘাঁটি অল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলের আঘাতে একটি শিশু আহত হয়েছে। এটি ছাড়া আর হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।
হ্যাগারি বলেছেন, “ইরানের হুমকি আইডিএফের আকাশ ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার মাধ্যমে মোকাবেলা করা হয়েছে। সঙ্গে ছিল শক্তিশালী জোট। যার মাধ্যমে বেশিরভাগ হুমকি ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যেসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল সেগুলোর ৯৯ শতাংশ ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অর্জন।”
তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়ার একটি পোস্টে জানিয়েছিল, একটি ঘাঁটিতে হামলাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কিন্তু হ্যাগারি এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ইরান যেসব ড্রোন ছুড়েছিল সেগুলোর একটিও ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারেনি। এছাড়া ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটিও ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারেনি। ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ২৫টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
তবে ইরানের ছোড়া ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। যেগুলো নাভাতিম বিমান ঘাঁটিতে পড়ে। এতে ওই ঘাঁটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল