হামাস নমনীয়তা দেখালেও ইসরাইল অনড় থাকায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তি নিয়ে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এমন দাবি করেছেন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান।
বৃহস্পতিবার বৈরুতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘দখলদার সরকার এখনো হিংস্র চক্রে আটকে থেকে আলোচনায় সুফল আসেনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মিসর ও কাতার অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালাতে থাকলেও এখন পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
হামাস যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরাইলি সামরিক হামলার স্থায়ী অবসান, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের শর্ত পূরণ করতে বলছে।
হামাসের আরো দুটি প্রধান দাবি হচ্ছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফেরার সুযোগ দেয়া এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো। আর ইসরাইল পণবন্দীদের বিনিময়ে তাদের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি পর্যন্ত সীমিত থাকতে চায়।
হামদান অচলাবস্থার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করে বলেন যে ফিলিস্তিনিরা নমনীয়তা দেখালেও নেতানিয়াহু বাধার সৃষ্টি করে যাচ্ছেন ন। তিনি বলেন, পণবন্দীদের মুক্ত করার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই নেতানিয়াহুর।
তবে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলেও আগামী সপ্তাহেও আলোচনা চলবে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬২ জন নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৩৩,০৩৭ জনের বেশি নিহত এবং ৭৫,৬৬৮ জন আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ১০১ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ও মাসে তাদেরকে আটক করা হয়েছিল। তাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ইসরাইলি কারাগারে তাদের সাথে অসদাচরণ করা হয়েছিল।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, আরব নিউজ, টাইমস অব ইসরাইল