গাজীপুর : সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমদের দখল করা বনভূমি উদ্ধার ও সরকারী বাহিনী ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের ঘটনায় ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের কাছে ব্যাখা চেয়েছে ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন। এই সময়ের মধ্যে সরকার ব্যাখা দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ১৬ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বড় ধরণের মানববন্ধন করা হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে এই সংগঠন।
আজ বুধবার বিকাল চারটায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে এই আল্টিমেটাম দেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালে বেনজীর আহমেদ ভাওয়াল গড়ের ২০ বিঘা জমি জবর দখল করেন পুলিশি প্রহরায়। রাষ্টীয় বাহিনী ব্যবহার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কি ভাবে এই জঘন্যতম অন্যায় কাজটি করলেন তার ব্যাখা সরকারকে দিতে হবে। ঘটনার সময় ডিএমপির বর্তমান গোয়েন্দা প্রধান হারুনর রশীদ গাজীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন। এই বিষয়ে হারুন সাহেবের বক্তব্য জাতির জানা দরকার। একই সঙ্গে বন বিভাগ জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানাতে হবে।
বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্মৃতিবিজড়িত ভাওয়াল গড় একজন সরকারী কর্মচারী, সরকারী বাহিনী ব্যবহার করে কি ভাবে জবরদখল করলেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। সাথে সাথে সরকারী কর্মচারীদের আয়-ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, এমনও সরকারী কর্মচারী আছে যে, মেয়ের বিয়ে দিতে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়, আর বেনজীর আহমেদ তার মেয়ের ৩০ মিনিটের বিশ্রামের জন্য সাড় তিন কোটি টাকার অভিজাত ফ্ল্যাট কিনতে হয়, এই বৈষম্য চরম লজ্জার।
সাংবাদিকদের হুমকি ধামকির বিষয়ে হুসিয়ারী উচ্চারণ করে মানববন্ধনে বলা হয়, সত্য খবর দিলে যদি সাংবাদিকদের হয়রানী করা হয় তবে ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন সকলের সাথে রাজপথে থাকবে।
ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন, ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান মহাসচিব এ কে এম রিপন আনসারী। বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আইয়ুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ বোরহান উদ্দিন অরণ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এম ইউ আহমেদ ভুৃইয়া রিমন, দপ্তর সম্পাদক মো: জাকারিয়া, উন্নয়ন সম্পাদক ফাহিমা নূর, সহ দপ্তর সম্পাদক আলী আজগর খান পিরু, রাতুল মন্ডল, আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক নেতা হাজী মুছাদ্দিকুর রহমান, কারুজ্জামান, শামীম মোহাম্মদ প্রমূখ।