শত কোটি টাকা পাচার : ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Slider সারাদেশ

প্রবাসী শ্রমিকদের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ১৯ জন ব্যাংকার ও দু’জন মানি এক্সচেঞ্জের মালিককে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রন্সিপাল অফিসার ও বুথ ইনচার্জ আনোয়ার পারভেজ, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, মো: আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার মো: সুরুজ জামাল, অমিত চন্দ্র দে, মো: মানিক মিয়া, সাদিক ইকবাল, মো: সুজন আলী ও মো: হুমায়ুন কবির।

অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো: শরীফুল ইসলাম ভূইয়া (ক্যাশ), মো: কামরুল ইসলাম (ক্যাশ), একই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো: সোহরাব উদ্দিন খান, খান আশিকুর রহমান, এবিএম সাজ্জাদ হায়দার (ক্যাশ), সামিউল ইসলাম খান, অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো: আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়।

এ ছাড়া বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার মো: আবু তারেক প্রধান, ব্যাংকটির সাপোর্টিং স্টাফ মো: মোশাররফ হোসেন, এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জারের কাস্টমাস সার্ভিস ম্যানেজার মো: আসাদুল হোসেন ও ইম্পিরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক কে এম কবির আহমেদকে আসামি করা হয়।

দুদক সচিব এ বিষয়ে বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিদেশী মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের অবৈধভাবে মুদ্রা সরবরাহ করছেন।

দেশে চলমান ডলার সঙ্কটের পেছনে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়কে দায়ী করে তিনি বলেন, অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অবৈধ এসব অর্থ দেশের বাইরে পাচারও হতে পারে। দুদক এখন থেকে এসব বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *