হাবিবুর রহমান (হাবিব) : পুলিশের অভিযানের মধ্যেও বগুড়ার শহরের মাদকের ‘সদর দপ্তর’ হাড্ডিপট্টিতে মাদকের কারবার থেমে নেই। হাড্ডিপট্টির মাদক কারবারিরা জেল থেকে জামিনে বের হয়ে এসে ফের মাদক ব্যবসা পুরোদমে শুরু করেছে।কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা মাদকের কারবার। সেইসাথে এই স্পটে জুয়ার আসরও জমজমাট। মাঝে-মধ্যে সেখান থেকে মাদক কারবারিরা ধরা পড়লেও গ্রেফতার হয়না জুয়ারিরা। এক ব্যক্তি জুয়ার আসরের প্রধান অয়োজক।অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরের কামারগাড়ী আন্ত:উপজেলা বাস টার্মিনাল ঘেষে থাকা হাড্ডিপট্টি এলাকা। সেখান থেকে গোটা শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট। পুলিশের অভিযান সত্বেও সেখানে মাদকের কারবার থেমে নেই। সেইসাথে গাঁজা, ফেনসিডিল ও হেরোইনও কেনা বেচাতো চলছেই। হাড্ডিপট্টিতে টাকার বিনিময়ে কিশোর, যুবা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট। সেইসাথে নানা বয়সীরাও মাদক কিনছে।হাড্ডিপট্টিতে চিহিৃত ৫ জন নারীসহ অন্তত: ১০ মাদক কারবারি মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে। সেই কাকডাকা ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত সেখানে বিভিন্ন পয়েন্টে মাদকের কারবার চলে। সেখানে রেল লাইনে বসে বা দাঁড়িয়ে কিশোর-যুবাদের কাছে মাদক বিক্রি করে। এ ছাড়া হাড্ডিপট্টির বস্তিতে ও বিভিন্ন অলিগলিতে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল বিক্রি হয় প্রকাশ্যে।ইতোমধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন মাদক কারবারিকে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট,ইয়াবাও অন্যান্য মাদকসহ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে এসে ফের মাদক ব্যবসা শুরু করেছে।তাদের দাপটে এখন শান্তিপ্রিয় মানুষ অতিষ্ট। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,পুলিশর সোর্স নামধারি দুই ব্যক্তি সেখান থেকে নিয়মিত বখরা তোলে। যে কারণে সেখানে দিন দিন মাদকের কারবার আরও বাড়ছে। অনুসন্ধানকালে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, শুধু হাড্ডিপট্টিই নয়,শহরের সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় ২টি স্পটে, স্টেশন রোডে রেলওয়ে কৃষি মার্কেটের পাশে সুইপার কলোনীর কাছে,পুরান বগুড়া মধ্যপাড়ায়, মালগ্রামে, চকসুত্রাপুর কসাইপাড়া, নামাপাড়া, চাপড়পাড়া, সওদাগড়পাড়া, নামাজগড় ট্রাক স্ট্যান্ড জহুরুল নগর ব্যাংকপাড়া, নামাজগড়, সুলতানগঞ্জপাড়া ঈদগাহ লেন, ঘোনপাড়া, উত্তর চেলোপাড়া সান্দারপট্টি, রেল লাইন বস্তি,বাদুড়তলা, উপ-শহর, বৃন্দাবনপাড়া, ফুলবাড়ি মধ্যপাড়া, কলোনী, নাটাইপাড়াবিভিন্ন স্থানে মাদকের রমরমা বানিজ্য চলছে।এ সব স্পটে প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজা হেরোইন ও ফেনসিডিলের কারবার চললেও শীর্ষ মাদক কারবারিরা ধরা পড়ছে না। মাদকের ডিলাররা ভারতীয় সীমান্ত থেকে বাহকের মাধ্যমে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইন সংগ্রহ করে এনে শহরের বিভিন্ন স্পটে খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকে। এরপর খুচরা মাদক কারবারিরা তা মাদক সেবনকারবারি কাছে বিক্রি করছে।এ ব্যাপারে পুলিশের মিডিয়া শাখার মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরাফত ইসলাম বলেন, বগুড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চলমান। বগুড়ার ১২টি থানায় প্রতিমাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাদক মামলা হচ্ছে। মাদক নিমূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেইসাথে “হাড্ডিপট্টিতে “পুলিশের অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।