বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আজকের খেলায় হাত খোলার আগেই লিটন-হৃয়দের বেঁধে ফেলে বরিশাল। মইন-চার্লরাও থিতু হতে পারেননি। যদিও জ্বলে উঠেন আন্দ্রে রাসেল, তবে তাকে উড়তে দেননি সাইফুদ্দীন। ফলে হাতের নাগালেই কুমিল্লাকে আটকে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল।
শুক্রবার ফাইনালের মহামঞ্চে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মিরপুরে বরিশালের বোলারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেট ১৫৪ রানেই থামে কুমিল্লার ইনিংস। প্রথমবারের মতো শিরোপায় চুমু আঁকতে বরিশালের প্রয়োজন ১৫৫ রান।
এদিন পাওয়ার প্লেতেই নীরবতা ভর করে কুমিল্লা শিবিরে। তিন তিনটা উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় তারা। যার শুরুটা হয় প্রথম ওভারেই সুনিল নারিনকে হারিয়ে। জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি নারিন, এক বল আগে জীবন পাওয়া ম্যাকয়েরই অসাধারণ ক্যাচ হয়ে ফেরেন ৫ রানে।
তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়কে বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছিল, ব্যাটেও বল আসছিল তার। তবে দায়িত্ব নিতে পারেননি, বড় হয়নি ইনিংস। ফুলারের বল কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহকে। ফেরেন ১০ বলে ১৫ করে। ৪৬২ রান নিয়ে বিপিএল শেষ হয় তার।
এক ওভার পর ফেরেন লিটন (১৬)। ফুলারের বলে যেভাবে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, তাকে আত্মহত্যা বলাই বোধহয় ভালো হবে। জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন জনসন চার্লস, তবে তারও দৌড় থামে ১৫ রানে। আর মইন আলি (৩) রান আউট হলে বিপদে পড়ে কুমিল্লা। ১১.৫ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা।
বিপর্যয় সামলে দলকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান জাকের আলি ও মাহিদুল অঙ্কন। মাহিদুল ৩৫ বলে ৩৮ করে ফেরেন সাইফুদ্দীনের শিকার হয়ে। এরপরেই মাঠে আসেন আন্দ্রে রাসেল। ১৯তম ওভারে ম্যাকয়কে তিন ছক্কা হাঁকান তিনি। সুবাদে দেড় শ’ স্পর্শ করে কুমিল্লা।
শেষ ওভারে রাসেলকে ঠান্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রণ করেন সাইফুদ্দীন। একটা নো বল আর তিনটে ওয়াইড দিলেও কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে দেননি। ফলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছায়নি কুমিল্লা। রাসেল ১৪ বলে ২৭* ও জাকের আলি ২৪ বলে অপরাজিত থাকেন ১২ রানে।