বিশ্ব ইজতেমার ইতিকথা

Slider বাধ ভাঙ্গা মত

মুফতি মোহাম্মদ এনামুল হাসান :১৯১০ সালে ভারতের রাজ্যস্থান মেওয়াতে মাওলানা ইলিয়াস রহ. তাবলিগ জামাতের গোড়াপত্তন করেন। ছয়টি মৌলিক বিষয়কে সামনে রেখে তাবলিগ জামাত তার দাওয়াতি কার্যক্রম গোটা বিশ্বে পরিচালনা করে আসছে।
ছয়টি মৌলিক বিষয় হচ্ছে- ১. কালেমা; ২. নামাজ; ৩. ইলেম ও জিকির; ৪. একরামুল মুসলিমিন; ৫. সহিহ নিয়ত; ৬. দাওয়াত ও তাবলিগ।

১৯২০ সালে তৎকালীন দেওবন্দ মাদরাসার সব আকাবির আসলাফের পরামর্শ মোতাবেক মাওলানা ইলিয়াস রহ. দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম শুরু করেন।

১৯৪৪ সালে মাওলানা ইলিয়াস রহ.-এর ইন্তেকালের পর তাবলিগ জামাতের দায়িত্ব দেয়া হয় তার সন্তান মাওলানা ইউসুফ রহ.-কে। মাওলানা ইউসুফ রহ.-এর ইন্তেকালের পর তাবলিগ জামাতের আমিরের দায়িত্ব দেয়া হয় মাওলানা এনামুল হাসান রহ.-কে। মাওলানা এনামুল হাসান রহ.-এর ইন্তেকালের আগে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সুচারুরূপে পরিচালনার লক্ষ্যে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে শিল্পনগরী টঙ্গীর সুবিশাল ময়দানে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের প্রধান মার্কাজ হলো ঢাকার কাকরাইল মসজিদে। বিশ্ব ইজতেমা বিশ্ব তাবলিগ জামাতের সর্ববৃহৎ সমাবেশ।

১৯৪৬ সালে ঢাকার কাকরাইলে প্রথম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে। এরপর নারায়ণগঞ্জে ১৯৫৮ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর টঙ্গীর পাগার নামক স্থানে ইজতেমা হয় ১৯৬৬ সালে। ১৯৬৭ সাল থেকে তুরাগ নদীর পূর্বতীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা।

মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও ইউরোপীয় দেশসহ বিশ্বের প্রায় পঞ্চাশের অধিক দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান তাবলিগ জামাতের সাথীরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।
আখেরি মুনাজাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। বর্তমান বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ১৯৯৫ সালে সরকারিভাবে বিশ্ব ইজতেমার জন্য স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়।

লেখক : পরিচালক, ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *