টঙ্গী( গাজীপুর) প্রতিনিধি : ভোটের আর মাত্র সাত দিন বাকী। প্রচারণার সময় শেষের পথে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে প্রচারণার গতি ততই বাড়ছে। তবে দিনে কম রাত হলেই প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ভোটের মাঠ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর-২ ( সদর- টঙ্গী) আসনে মোট নয়জন প্রার্থী। হেভিওয়েট তিন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা ও ঈগল পাখি সহ ছয় প্রার্থীর বাড়িই টঙ্গী। বাকী তিন প্রার্থী সদরের। অধিকাংশ প্রার্থীর বাড়ি টঙ্গী হওয়ায় প্রার্থীদের বাড়ি ভিত্তিক বেশী প্রচারণা টঙ্গীতেই হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রচারণার গতি থাকে খুব কম। সন্ধ্যা হলেই জেগে ওঠে নির্বাচনী মাঠ। রাতে জমজমাট প্রচারণার কারনে প্রায় ভোররাত পর্যন্ত খোলা থাকে প্রচারণা কেন্দ্রিক ব্যববসা প্রতিষ্ঠান। রাতের বেলায় ঘরে ঘরে প্রচারণার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক ভোটার ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরক্তিকর পোস্ট দেয়াও শুরু করেছেন।
গাজীপুর -২ আসনের মোট ৩৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ড টঙ্গীতে। এই ১৫ টি ওয়ার্ডে ছয়জন প্রার্থীর বাড়ি। শিল্পএলাকা টঙ্গীতে রয়েছে ২১ টি বস্তি। তাই বড় অংকের ভোটার টঙ্গীর বস্তিগুলোর বাসিন্দা। অল্প টাকায় কর্মী পাওয়ার স্থান বস্তি এলাকা হওয়ায় বস্তিবাসীদের চোখে যেন ঘুম নেই। বস্তির নারী পুরুষ সবাই প্রচার প্রচারণার কর্মী। তাই রাতজাগা মানুষগুলো বস্তিতেই বেশী।
সরেজমিন জানা যায়, টঙ্গীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্ধ্যা থেকে উঠান বৈঠক, প্রচারণার লিফলেট বিতরণ, চায়ের স্টলে ও হোটেলে আড্ডা যেন নির্বাচনী আমেজের ফানুস উড়িয়ে রাখে। অধিকাংশ উঠান বৈঠকে খিচুড়ির আয়োজন থাকায় কর্মীরা খাবারের জন্য বাসায়ও যায় কম। ফলে প্রচারকর্মী, ভোটার আর প্রার্থীদের পদচারণায় মূখর হয় রাতেই বেশী। এছাড়া প্রার্থীদের বাড়িতে সারারাতই লোকজন সজাগ থাকেন। খাবার দাবার চা পান বিড়ির ধুম পড়ে যায় প্রার্থীদের বাড়ির কেন্দ্রীক এলাকা।
টঙ্গীর শিলমুন এলাকার চায়ের দোকানী আশরাফ আলী জানান, ভোটের লোকজন প্রায় সারারাতই থাকে। তাই বেচাকেনা রাতে বেশী। ভোট চলে গেলে আর বেশী রাতে দোকান খোলা রাখব না। কারণ তখন রাতের কাস্টমার থাকবে না।
টঙ্গীর ভরান মাজার এলাকার ভোটার আলী ইমরান জানান, ভোট যত কাছে আসছে রাতে ততই অত্যাচার বাড়ছে। ঘুম থেকে ডেকে তোলে ভোট চায়। এটা বিরক্তিকর।
মাসুম আল শাহীন নামে এক ভোটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, রাতে ডাকবেন না প্লিজ। ঘুম নষ্ট করে ভোট চাইলে ভোট দিমু না।
গাজীপুর-২ আসনে নয়জন প্রার্থীর মধ্যে টঙ্গীতে ছয়জন প্রার্থী। টঙ্গীতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ আহসান রাসেল, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ সৈয়দ আবু দাউদ মছনবী হায়দার, লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জয়নাল আবেদীন প্রচারণায় সক্রিয় আছেন। বাকীরা হালকা পাতলা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।