টঙ্গী( গাজীপুর) প্রতিনিধি : খালার বাসায় বেড়াতে এসে খালাত ভাই কর্তৃক ধর্ষষনের শিকার হয়ে খুন হয়েছেন সাত বছরের এক শিশু। এই ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে তার বাবাকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
বুধবার( ২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় টঙ্গীর পূর্ব থানার শিলমুন বালুর মাঠের জঙ্গল থেকে পুলিশ এই শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশু জান্নাত(৭), সিরাজগঞ্জ জেলার কামাখন্দ থানার দশসিকা গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে। গ্রেপ্তার কিশোর জনি(১৫) ও আটক তার বাবা ফজলু মিয়া(৪৫)। আাসামীরা টঙ্গীর শিলমুন এলাকার জনৈক সোহেলের বাসায় ভাড়া থাকেন।
পুলিশ, নিহতের বাবা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাঁচ দিন আগে জান্নাত টঙ্গীতে তার খালার বাসায় মায়ের সাথে বেড়াতে আসে। পরদিন নিঁখোজ হয়। ১৮ ডিসেম্বর মেয়ের বাবা আঃ মান্নান টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি জিডি করে। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ জনি ও তার বাবা ফজলু মিয়াকে আটক করে। জনি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিলে পুলিশ আজ বিকেলে জনিকে নিয়ে জঙ্গল থেকে জান্নাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, জনি চিপস খাওয়ানোর কথা বলে জঙ্গলে এনে জান্নাতকে ধর্ষন করে। ধর্ষণের পর জান্নাত তার বাবাকে ঘটনা বলে দিবে বলে জানালে জনি পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে জান্নাতকে হত্যা করে বালি দিয়ে লাশ ঢেকে রেখে বাড়িতে চলে যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ( অপরাধ দক্ষিন বিভাগের) অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান বলেন, জনি চিপসের লোভ দেখিয়ে জান্নাতকে ধর্ষনের পর হত্যা করে। এই ঘটনায় জিডি হলে জিডির তদন্তের সূত্র ধরে জনি ও তার বাবাকে আটক করা হয়। জনি অপরাধ স্বীকার করলে তার দেখানো মতে লাশ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মামলা দায়ের করা হবে।