বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ‘আই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। লাল সবুজের সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়েছেন মোরসালিন-সোহেলরা। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটে মাজেদ ওসমানের গোলে পিছিয়ে পড়েলেও সেখান থেকে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ৭২ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান শেখ মোরসালিন।
শেষ পর্যন্ত লেবাননের সাথে ১-১ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।
এএফসি কাপে মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মালদ্বীপ থেকে ফেরার সময় মদ কেলেঙ্কারিতে জড়ান মোরসালিন। এরপর বসুন্ধরা কিংস সাসপেন্ড করে তাকে। এরপর বাফুফেও একই পথে হাঁটায় মালদ্বীপের বিপক্ষে প্লে-অফে খেলা হয়নি তার। পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বদলী হিসেবে নামলেও কিছু করার ছিল না।
মঙ্গলবার লেবাননের বিপক্ষে গোলরক্ষক শ্রাবনের ভুলে লাল-সবুজরা যখন হারের শঙ্কায় তখনই ত্রাতা হয়ে এলেন মোরসালিন। ৬৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ৭৫ মিনিটেই খেলায় ফেরে মোরসালিনের দর্শনীয় গোলে। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই পয়েন্টের দেখা পেল হাভিয়ার কাবরেরা বাহিনী। অপরাজিত থাকল কিংস এরিনায়। আর জাতীয় দলের জার্সিতে চতুর্থ গোল পেলেন মোরসালিন।
ম্যাচে প্রাপ্ত সুযোগ অনুযায়ী জয়ই হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। শুরুতে লেবানন কিছুটা চড়াও হয়ে খেললেও প্রথমার্ধে গোলের বেশি সুযোগ জামাল ভূঁইয়ারাই পায়। তবে দলে ফেরা মোরসালিন ৩৩ ও ৪৫ মিনিটে বলের সাথে পায়ের সঠিক সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় লিড পায়নি বাংলাদেশ। দুই ক্ষেত্রেই ডান দিক থেকে তাকে ক্রস দিয়েছিলেন ফাহিম। এর আগে ৩৩ মিনিটে জামালের কর্নারে বিশ্বনাথের হেডে বাধা হয়ে দাঁড়ান লেবাননের গোলরক্ষক মোস্তফা মাতার।
প্রথমার্ধে মাঝামাঝিতে চোট পাওয়া গোলরক্ষক মিতুল মারমা বিরতির পর আর মাঠে নামেননি। তার বদলে নামা মেহেদী হাসান শ্রাবন ৪৭ মিনিটে ফ্রি-কিকে বলের ফ্লাইট মিস করলেও লেবাননের কাশেম এলাজিনের হেড বার উচিয়ে যাওয়ায় রক্ষা পায় বাংলাতেশ। এই ম্যাচেই জাতীয় দলে অভিষেক বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপে খেলা গোলরক্ষক শ্রাবনের।
৬৮ মিনিটে আবারো ভুল করেন গতবছর মুক্তিযোদ্ধায় খেলা এই কিপার। তার হাত ফসকে যাওয়া বলের দখল নিয়ে গোল করেন মাজেদ ওসমান।
অবশ্য মোরসালিনের কল্যাণে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। ৭২ মিনিটে তার বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে কিংস এরিনায় উপস্থিত হাজার সাতেক দর্শকের উল্লাস শুরু হয়। এর তিন মিনিট পরে বিশ্বনাথের পায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল থেকে রক্ষা হয় শ্রাবনের কল্যাণে। ৮৯ মিনিটে রবিউলের পাসে মোরসালিন গোলরক্ষকে একা পেয়েও বল বাইরে মেরে নিশ্চিত গোল মিস করেন। যা একই সাথে বাংলাদেশকে জয় বঞ্চিত করে। জামালদের পরের ম্যাচে ২১ মার্চ ঢাকাতেই, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে।