টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে এসআই মিল্টন কুন্ডুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার(১৮ অক্টোবর) সকালে নিহতের ভাই সুমন কুন্ডু বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। অত:পর ময়না তদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় নিয়ে যায় স্বজনরা।
টঙ্গী থানার ওসি শাহ আলম জানান, এসআই মিল্টন কুন্ডুর আত্যহত্যার ঘটনায় তার ভাই সুমন কুন্ডু বাদী হয়ে একটি অপমৃুত্য মামলা করেছেন। ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিহতের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন তার আত্মীয় স্বজন।
এর আগে মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় টঙ্গী পশ্চিম থানার ৬তলার পুলিশ ব্যারাক থেকে মিল্টন কুন্ডুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিল্টন কুন্ডু নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার বুধপাশা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানায় উপ পরিদর্শক(এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালে তিনি উপ-পরিদর্শক পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর পুবাইল থানা থেকে বদলি হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় যোগদান করেন ওই পুলিশ সদস্য। যোগদানের পর থেকেই অন্যমনস্ক হয়ে সব সময় নিজেকে সবার থেকে আড়াল করে রাখতেন তিনি । নিয়মিত তেমন কোন কাজকর্মই করতেন না এই পুলিশ সদস্য এমনটিই জানিয়েছে পুলিশ।
পুবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত মিল্টন কুন্ড যখন পুবাইল থানা কর্মরত ছিল তখন সে প্রায়ইই অন্যমনস্ক হয়ে থাকতো। সবার থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখত। তাকে কোন কাজ দিলে বলতো সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। নিহত মিন্টন কুন্ড গত ৩ সেপ্টেম্বর পুবাইল থানা থেকে বদলি হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় যোগদান করেন ।
ওসি শাহ আলম আরো জানান, ১২ দিন আগে মিল্টন টঙ্গী পশ্চিম থানায় যোগদান করেছেন। বিকেলে রেষ্ট নেয়ার জন্য তিনি থানা ভবনের ছয়তলায় নিজের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫০মিনিটে ফ্যানের সাথে ফাসিতে ঝুলে থাকা অবস্থায় তার লাশ দেখা যায়। অত:পর লাশ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। মিল্টনের লাশ তার ভাই সুমন কুন্ডু গ্রহন করেছেন। মিল্টনের বাবা মা ছাড়াও দুই ভাই ও এক বোন রয়েছে। ব্যক্তি জীবনে মিল্টন অবিবাহিত ছিলেন।