নাশকতার মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন

Slider বাংলার আদালত

রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দুই মামলায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসাআই) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ঢাকা পোস্টকে জানান, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর মির্জা ফখরুলের নামে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে আজকেরটা নিয়ে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেলেন। আরেকটি মামলায় তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। যা বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আশা করছি খুব দ্রুতই তিনি সেই মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হবেন।

তিনি আরও বলেন, আমীর খসরু মাহমুদের নামে ১০ মামলায় ২টিতে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আগামীকাল বাকি ৮ মামলায় জামিন শুনানির জন্য রয়েছে। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করলে কারামুক্তিতে আর বাধা থাকবে না।

এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখনোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার। পরবর্তী সময়ে গত ১৮ ডিসেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পাশাপাশি রিমান্ড নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া, কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *