পাঁচ বছর আগে ঢাকায় তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি মামলার বাদী সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্যান্য দুর্বৃত্তের সাথে ইশতিয়াক মাহমুদও জড়িত ছিলেন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইশতিয়াক মাহমুদ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় রাখা হয়েছে। আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে তাকে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে আজ দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ মামলায় পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন। একইসাথে ৯ আসামির মধ্যে ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় ইশতিয়াকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাতে বলা হয়, এ আসামিদের অপরাধের সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগপত্রে ইশতিয়াক ছাড়াও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলাটি হয়।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের মার্চে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। আসামিদের মধ্যে শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম না থাকায় সে সময় আপত্তি জানিয়েছিলেন বাদী বদিউল আলম মজুমদার। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলা অধিকতর তদন্তের আবেদন করে।