ভারতে সাধারণ নির্বাচন বা উপ-নিবার্চনে মনোয়ন জমা দেয়ার সময় হলফনামা জমা দিতে হয়। সেই হলফনামায় দেয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশটির প্রায় ১৯৪ (২৫ ভাগ) পার্লামেন্ট সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, নারী নির্যাতনের মতো মামলাসহ গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে কেরল (৭৩%)। তার পর রয়েছে বিহার, মহারাষ্ট্র (৫৭%) এবং তেলেঙ্গানা (৬০%)। সাংসদরা নিজেই তাদের জমা দেয়া তথ্যে এ কথা জানিয়েছেন।
বিহারে গুরুতর ফৌজদারি মামলায় (৫0%)-সহ সর্বাধিক সাংসদ রয়েছেন। তার পর রয়েছে তেলেঙ্গানা (৯%), কেরল (১০%), মহারাষ্ট্র (৩৪%) উত্তর প্রদেশ (৩৭%)।
দলভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, বিজেপির ১৩৯ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৯ (৩৬%), কংগ্রসের ৮১ জন সাংসদের মধ্যে ৪৩(৫৩%), তৃণমূলের ৩৬ জন সাংসদের মধ্যে ১৪ (৩৯%), আরজেডির ৬ সাংসদ, সিপিএমের ৮ সাংসদের মধ্যে ৬ (৭৫%), আপ-এর ১১ জনের মধ্যে ৩ (২৭%), এনসিপির ৮ জন এমপি তাদের হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন।
দাখিল করা হলফনামা অনুসারে, ৩২ জন বর্তমান এমপি হত্যার চেষ্টার মামলা (আইপিসি ধারা-৩০৭) জড়িত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ২১ জন বর্তমান সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ-সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। ২১ এমপির মধ্যে চারজন ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলার কথা ঘোষণা করেছেন।
লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে এমপি প্রতি সম্পদের গড় পরিমাণ ৩৮.৩৩ কোটি রুপি। ফৌজদারি মামলা রয়েছে ঘোষিত সাংসদের গড় সম্পদ ৫০.০৩ কোটি রুপি। কোনো ফৌজদারি মামলা নেই এমন এমপিদের সম্পদের পরিমাণ ৩০.৫০ কোটি রুপি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস